নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর ও সিরাজদিখান এই দুই উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-১ আসন। এবার নৌকা নিয়ে এসেছেন তৃণমূল পর্যায় থেকে বেড়ে ওঠা নেতা, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ। সেই নৌকা ভরে ভোট উপহার দেবে শ্রীনগর ও সিরাজদিখানবাসী। সভা-সমাবেশের বক্তব্য থেকে শুরু করে চায়ের দোকান সবখানেই এই আলোচনা শোনা যাচ্ছে। সবার মুখে একটাই কথা, এলাকার ছেলে মহিউদ্দিনকে তারা বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। নিজ এলাকার প্রার্থী পেয়ে তৃপ্ত সিরাজদিখানবাসী। তাছাড়া শ্রীনগরবাসীও মহিউদ্দিন আহম্মেদকে (নৌকা) বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে।
এরইমধ্যে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে নেমে পড়েছে। দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও দিন-রাত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নৌকাকে বিজয়ী করতে।
মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহম্মেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের তিনবার নির্বাচিত চেয়্যারম্যান ছিলেন। তিনি একটানা পাঁচবার মালখানগর ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তার সহধর্মিণী মালখানগর ইউনিয়নের পরপর তিনবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।
বালুচর বাজারের ভ্যানচালক বাবুল মিয়া বলেন, আমি বিএনপি করি। কিন্তু এইবার ভোট কোনো দলকে দিমু না। মহিউদ্দিন আমাদের এলাকার পোলা ভোটটা তারেই দিমু।
বিএনপির সমর্থক রহিম মিয়া জানান, বিএনপির বাইরে কোনোদিন ভোট দেননি। কিন্তু এবার এলাকার পোলা হিসেবে মহিউদ্দিনকে ভোট দেবেন। শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দলের নির্দেশনা না থাকলে সরাসরি মহিউদ্দিন আহম্মেদের পক্ষে কাজ করতেন। মহিউদ্দিন আহম্মেদ ভালো মানুষ। তিনি এমপি হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে তারা মনে করেন।
শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ করি। তিনি যাকে যোগ্য মনে করেছেন তার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। জননেত্রীর প্রতি আস্থা রেখে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।
শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মামুন জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনতে প্রতিটি নেতাকর্মী নিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বিজয় নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি। উপজেলার সবপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করছি। সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ চলছে। হাজার হাজার নৌকাপ্রেমী মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করছেন নৌকার প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত। গণমানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বুঝিয়ে দেয় আগামী দিনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌকা বিজয়ের লক্ষ্যে শ্রীনগর ও সিরাজদিখান দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। নৌকার গণজোয়ার দেখে কিছু কিছু মানুষ আমার এবং আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে মিথ্যাচার করছে। নেত্রী তাদের প্রার্থী হতে বলেছে। তারা মূলত মিথ্যা কথা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। গুজব ছড়িয়ে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা উস্কানি দিচ্ছে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য। বিক্রমপুরের মানুষ আগামি ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দিয়ে অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের জবাব দিবে।
তিনি আরো বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আমার লক্ষ্য হবে শ্রীনগর-সিরাজদিখান উপজেলার উন্নয়ন করার পাশাপাশি বেকার যুবসমাজকে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করা। উন্নত শ্রীনগর-সিরাজদিখান গড়ার যে স্বপ্ন আছে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে নৌকার পালে বিজয়ের হাওয়া
আগের পোস্ট