নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব পাঠান মতু পেলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও কার্ড। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাক্ষরিত কার্ডটির পরিচয় আজীবন বলবৎ থাকবে। কার্ডটি সরকারী সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে, যা হস্তান্তর যোগ্য নয়। এই কার্ডটির জন্য তিনি নিজ জেলা ব্যতীত অন্যান্য জেলার সার্কিট হাউজ ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে অবস্থান করতে পারবেন। এই কার্ড প্রদর্শন করলে সরকারী পরিবহন (রেলওয়ে, বিআরটিসি কোচ, বাস ও জলযানে সর্বোচ্চ শ্রেণিতে) বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন।ব াংলাদেশ বিমানে অভ্যন্তরীণ রুটে বছরে একবার ও আন্তর্জাতিক যেকোন রুটে (ইকোনমি শ্রেণিতে) বিনা ভাড়ায় দুইবার সেই সাথে পবিত্র হজ্ব/ওমরাহ পালনের জন্য জীবদ্দশায় একবার ঢাকা-জেদ্দা- ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন। তাকে বহনকারী গাড়ি, ফেরি, ব্রীজে বিনা টোলে চলাচল করতে পারবে। ফেরিতে ভিআইপি কেবিনও থাকবে বরাদ্দ। পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল/মোটেলে বিনা ভাড়ায় বছরে একবার দুইরাত সপরিবারে থাকতে পারবেন। কার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব পাঠান মতু বলেন, কোন সুযোগ সুবিধা পাবো এজন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনাই। যুদ্ধ করেছি দেশকে স্বাধীন ও শত্রুমুক্ত করার জন্য। তবে এই মুহূর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, দেশের মুক্তিযোদ্ধা তথা আমাকে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দেওয়ার জন্য।