নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা যুবলীগের ৯টি ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বলছেন, কমিটি অনুমোদনের স্বাক্ষর জাল। গত শনিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন কমিটিগুলোর ঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট করা হলে তা মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সকল নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ আল মামুন তার নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেন, কোন এক কুচক্রীমহল শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনাদের সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা কেউ এ ধরনের অপপ্রচারে বিচলিত হবেন না।
জানা যায়, উল্লেখিত ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, বাঘড়া, ভাগ্যকুল, কুকুটিয়া, তন্তর, বীরতারা, হাঁসাড়া, শ্যামসিদ্ধি ও ষোলঘর ইউনিয়নের নাম। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে যুবলীগের প্রস্তাবিত সভাপতি ও সাধরণ সম্পাদকের ঐ তালিকায় উঠে আসে এলাকায় বিতর্কিত বেশ কয়েকজনের নাম। দলীয় নেতাকর্মীরা ভুয়া এই কমিটির তালিকা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘোষিত কমিটির এক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বলেন, কয়েকদিন পূর্বে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলমের সামনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ আলম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক হাজী নেছার উল্লাহ সুজনের স্বাক্ষরে ৯টি ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আবার সে কমিটি তারা ভুয়া বলছে ব্যাপারটা এখনো বুঝতে পারছি না। এই নিয়ে এখন আমরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ভিতরে রয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ আল মামুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে কে বা কারা ৯টি ইউনিয়নে যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদের তালিকা প্রকাশ করে। যা পুরোপুরি বানোয়াট। এ কাজ যারা করেছে তাদের খুঁজে বের করে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী নেছার উল্লাহ সুজনের কাছে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে গতকাল সন্ধ্যা থেকে নিউজ লেখা পর্যন্ত একাধিকবার ফোন দিলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম খান বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে আমার সামনে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজ হাতে লিখে এই কমিটিগুলোর অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদনের কপিগুলোও আমার কাছে রয়েছে। এই কমিটি ঘোষণা দিয়ে সাধারণ সম্পাদক অস্বীকার করছে না। কিন্তু সভাপতি অস্বীকার করছে কারণ সে পুনরায় কমিটি নিয়ে পদ বাণিজ্য করবে। সে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা ব্যক্তিদের এখন পদ দিবে। ইতিপূর্বেও সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দুদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলসহ তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন মদের আসরে বসে মদ্যপানের ছবিও আমার কাছে এসেছে। এইসব বিষয়ে আমি কেন্দ্রে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবো বলে জানান তিনি।