নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে জনচলাচলের একটি রাস্তায় বালু ফেলে বন্ধ করে ঘর তোলার পায়তারায় বাঁধা দেয়ায় হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুর এলাকায় জনচলাচলের এ রাস্তায় বালু ফেলে ঘর তোলার পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার প্রভাবশালী হাশেম মোল্লা হাসুর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে রাস্তায় জমিদাতা মোঃ টুটুল মৃধা বাদী হয়ে হাশেম মোল্লা ও ইয়ার হোসেনকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শ্রীনগর থানা বরাবরে দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন।
টুটুল মৃধার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত রাঢ়ীখাল মৌজাস্থিত আর.এস ৪২৫৪নং খতিয়ানভুক্ত আর.এস ১৭৬২নং দাগের ২.৩৬ শতাংশ জায়গা স্থানীয় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে গত ২০ বছর পূর্বে ঐ এলাকার ২০ পরিবারে প্রায় শতাধিক লোকজনদের চলাচলের জন্য শ্রীনগর দোহার আন্তঃসড়ক হতে বালাশুর ওবায়দুল মাস্টার বাড়ী পর্যন্ত প্রস্তাবিত একটি রাস্তা হয় এবং রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে কয়েকবার এই রাস্তায় মাটি ফেলে লোকজন যাতায়াত করে আসছিল। গত ৪/৫ বছর পূর্বে এই রাস্তার চতুর্দিকে অন্যান্য জমির মালিকরা তাদের জমিতে বালু ফেলে ভরাট করায় রাস্তাটি ডুবে গিয়ে জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে লোকজন বাড়ী বাড়ীর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে থাকে। ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত রাস্তার জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক কাশেম হাওলাদার তার জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এই সুযোগ ঐ এলাকার মৃত জহের মোল্লার ছেলে হাশেম মোল্লা হাসু (৬০), বালাশুর সামি হাসপাতালের মালিক ইয়ার হোসেন (৫০)দ্বয় জনচলাচলের এ রাস্তার মুখে বালু ফেলে টিনের বেড়া দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করছে এবং ইয়ার হোসেন তার ক্রয়কৃত সম্পত্তিসহ সরকারী নয়জলি জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করেছে। ভুক্তভোগী গত রবিবার বিকেলে রাস্তার জায়গা দখলের ব্যাপারে জানতে গেলে হাশেম মোল্লা বলেন, ৫ লক্ষ টাকা দিলে আমি রাস্তা ছেড়ে দিবো। আর টাকা না দিয়ে এলাকায় থাকতে পারবি না বলে হুমকি দেয়। সরকারী নয়জলি জায়গা ভরাটের ব্যাপারের বালাশুর সামি হাসপাতালের মালিক ইয়ার হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নয়জলির জায়গার পিছনে আমার জায়গা। আমার জায়গায় বালু ভরাট করতে গেলে নয়জলি জায়গার উপর দিয়েই বালু নিতে হয়। আমিতো ঐ জায়গা দখল নিচ্ছি না।
জনচলাচল রাস্তা বন্ধ করে ঘর তোলার ব্যাপারে হাশেম মোল্লা হাসুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি সরেজমিনে এসে দেখেন আর আসার সময় কাগজপত্র সাথে নিয়ে আসবেন।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্তকারী অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। সেখানে যদি সরকারী রাস্তা হয় আমরা ব্যবস্থা নিব এবং ব্যক্তিগত রাস্তা হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলে ব্যবস্থা নিব।