নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নাগেরহাট বাজার সংলগ্ন শাখা সড়কে কোনপ্রকার ছাড়পত্রবিহীন ড্রেজার লাইনের বাণিজ্য করছেন মো. মামুন। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল এবং যান চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন ঘটছে ছোটখাট সড়ক দূর্ঘটনা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কনকসার ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. নাহিদ এ বিষয়ে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন না। অবৈধভাবে ১টি ড্রেজারের পাইপ লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এদের সাথে তিনি জড়িত না থাকলেও কোন প্রতিবাদ তিনি করেননি। এসব পাইপের কারণে সড়কে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকায় প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিধি-নিষেধ অমান্য করে অবৈধ ড্রেজারে বালু বাণিজ্য করে আসছে।
কনকসার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. কুদ্দুস শেখ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে মামুন। আগে যৌথভাবে করতো, এখন একাই করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ফসলি জমির উপর দিয়ে ড্রেজার পাইপ নিয়েছে এক সপ্তাহের কথা বলে এক বছর হয়েছে এখনো পাইপের কাজ চলছে। জমিতে বালি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। জমি চাষ করতে সমস্যা হচ্ছে। পুকুরে ড্রেজার মেশিনের শব্দে রাতে লেখাপড়া ও ঘুমের অসুবিধা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মো. মামুন নাগেরহাট বাজার ব্রীজের পুকুর থেকে ড্রাম ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করছে। একটি কৃষিজমি ভরাট করা হচ্ছে। তিনি ড্রেজার সিন্ডিকেটের অন্যতম একজন। সড়কের ওপর দিয়ে ড্রেজার পাইপের সংযোগ দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানীয়দের বসতবাড়ির ওপর দিয়ে এসব ড্রেজারের পাইপ নেওয়ার ফলে বসবাসকারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
ড্রেজারের শ্রমিক বলেন, মালিকানা ড্রেজারের কাজ তারা করছেন।
ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. মামুন কাছে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি কলের জবাব দেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাহিদ এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ ড্রেজারের সাথে আমি জড়িত না। কিছুদিন আগে প্রশাসন ড্রেজার উচ্ছেদ করার সময় আমিও ছিলাম। সড়কে ড্রেজার বসানোর বিষয়ে আমি তাদেরকে নিষেধ করেছিলাম, তারা আমার কথা রাখেনি।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াস শিকদার জানান, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি খোঁজ নিয়ে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, পুকুর থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ফসলি জমি ভরাট সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ। আমরা অতি দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেব। এলাকাবাসীকে সচেতন করে ফসলি জমি ভরাট বন্ধ করতে হবে।
লৌহজংয়ের নাগেরহাটে অবৈধ ড্রেজার লাইন ; এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ
আগের পোস্ট