নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ঘাসভোগ ৮নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত শুক্রবার বেলা ১১টায় অনলাইন পোর্টাল বিক্রমপুর চিত্রে ভিডিও আকারে মিথ্যা তথ্য ও জনপ্রতিনিধির ছবি ও নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ঘাসভোগ এলাকায় ডহরী-তালতলা খালের পোড়াগঙ্গা খালের প্রবেশমুখে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্রমপুর চিত্র অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এলাকাবাসী। সংবাদটি প্রচারে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন।
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে কৃষিজমি ৪২ শতাংশের মালিক মোঃ আজিজুল হক বলেন, আমি স্বেচ্ছায় জমিটি থেকে মাটি কাটার জন্য বলেছি। আমার জমিটি দীর্ঘদিন অনাবাদি পড়ে রয়েছে। আমি কোন ফসল উৎপাদন করতে পারছি না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মাঠ ভরাট কাজে মাটি দিচ্ছে সাথে সনাতন ধর্মীয় মেলা বসানো হয় ওখানে কোন অর্থ ছাড়াই মাটি দিয়েছি। এছাড়াও আবুল কাসেম বলেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তি ৪৩ শতাংশ। আমি সরকারি কাজে ব্যবহার করতে মাটি দিয়েছি।
মোকাজ্জল হোসেন বলেন, আমার ৭০ শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তি সরকারের উন্নয়নে দিয়েছি। এখানে আমাদের ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ জড়িত নয়। আমরা এলাকার উন্নয়নে অংশীদার হতে চাই। সরকারি খালের মাটি নয়, ব্যক্তিগত জমির মাটি কাটা হয়েছে। জমি থেকে সরকারি খাল বেশ দূরে।
এসময় বিক্রমপুর চিত্র অনলাইন পোর্টাল জেলা পরিষদের সদস্য সিরাজুল ইসলাম মৃধা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদকে জড়িয়ে যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানান তারা।
আবদুল আজিজ, মোকাজ্জল হোসেন ও আবুল কাশেম নামে তিন জমির মালিক উপস্থিত হয়ে জানান, তাদের তিনজনের ১৫৭ শতাংশ জমি থেকে মাটি কেটে সরকারি উন্নয়ন কাজে লাগানো হয়েছে।
খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য বুলবুল আহমেদ বলেন, যেখান থেকে মাটি কাটা হয়েছে, সেটা সরকারি খাল না। খাল অনেক দূরে। আমরা ৪/৫শত গ্রামবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে খালকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে ইউএনও’র কাছে দরখাস্ত করেছি। একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য শিরিন আক্তার বলেন, ধাইরপাড়া গ্রামে বটতলা গলিয়াখোলা নামে একটা জায়গা আছে। যেখানে প্রতি বছর বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে। সেই মাঠটির উন্নয়নের জন্য মাটি নেওয়া হয়েছে। কারও ব্যক্তিগত কাজে এ মাটি ব্যবহার করা হয়নি। আর শুধু খাল নয়, তিন জমির মালিক স্বেচ্ছায় মাটি দিয়েছেন। অনলাইন পোর্টালে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে বিক্রির কথা বলা হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তাছাড়া দু’জন জনপ্রতিনিধিকে হেয় করে সম্মান নষ্ট করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিক্রমপুর চিত্র অনলাইন পোর্টাল নিউজের প্রকাশক ও সম্পাদক এডভোকেট শামীম মোবাইলে ফোনে বলেন, আপনি আমার বিরুদ্ধে নিউজ করেছেন আমি এডভোকেট আদালতে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করবো। কত বড় সাংবাদিক দেখে নেব। অভিযোগ পেয়ে নিউজ করা হয়েছে, আপনি বলছেন মিথ্যা তথ্য। সাংবাদিক নামে বিশ ফোঁড়া।
দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজের লৌহজং উপজেলা প্রতিনিধি তাকে বলেন, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন তথ্য সংগ্রহ করে নিউজ করা হয়েছে। তখন তিনি মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।