নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা কলেজ মাঠ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পহেলা আগস্ট বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। লৌহজং উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের নেতৃত্বে বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ নিয়ে থেকে লৌহজং কলেজ মাঠে জড়ো হয় নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে তেউটিয়া, কুমারভোগ, কনকসার, হলদিয়া, মেদিনীমন্ডল, বেজগাঁও, গাঁওদিয়া, বৌলতলী, কলমা, খিদিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত হন। লৌহজং কলেজ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর প্রায় আড়াই হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ নিয়ে লৌহজং কলেজ মাঠ থেকে র্যালি নিয়ে মালি অংক বাজার নতুন থানা সংলগ্ন এলাকায় এসে থামেন। এই এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়েই ছিল মানুষের ঢল। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বলছেন, এটি স্মরণকালের সেরা মিছিল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গণি তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল রশিদ শিকদার, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বেপারী, মেহেদী হাসান, উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
র্যালি শেষে অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, আজ আমরা অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ নিয়ে একটি শোক র্যালি করেছি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। শোক দিবসে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করব।
লৌহজংয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে র্যালি
আগের পোস্ট