নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মালিরঅংক বাজার সংলগ্ন বেজগাঁও ইউনিয়ন জামিআ কাসেমিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার শিক্ষাবর্ষ ২০২১-২০২৩ বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফল শতভাগ অর্জন হয়েছে। তবে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষাদাতাদের ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ জানালেন ছাত্ররা। অভিভাবকদের দাবি, এই মাদ্রাসার শিক্ষার মান খুবই ভালো। শতভাগ পাস তারই প্রমাণ।
জানা যায়, বেজগাঁও ইউনিয়নের জামিআ কাসেমিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার হিফজুল কুরআন বিভাগ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলায় প্রথম হয়েছে তিনজন। এরা হলেন- মো. ইমরান হোসেন তালুকদার, মো. আমির হামজা, মো. শহিদুল ইসলাম এবং তৃতীয় হয়েছে দুইজন। ১৩ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। এছাড়া আরো জানা যায় যে, ইবতেদাইয়্যাহ মাদ্রাসায় ১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে সারা বাংলাদেশে ১২ জন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে। ১৪ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। মতাওয়াসসিত্তাহ মাদ্রাসায় ২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সারা বাংলাদেশে ৯ জন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে। ১৯ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। মোট তিনটি বিভাগের মধ্যে ৮৩ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ জন এবং শতভাগ পাস করেছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. সাজিদুল ইসলাম জানান, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের কোন তুলনা হয় না। যেমন শিক্ষাদাতারা আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা দেন তেমনই মাদ্রাসার কমিটির লোকজন আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন এবং আমাদের নিজের সন্তানদের মত ভালোবাসেন। এখানকার সবকিছুই পরিবারের মত যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এই প্রতিষ্ঠানের সবাই খুবই ভালো। মো. আবু বক্কর ও মো. আমিনুল ইসলাম তার কথায় একাত্মতা প্রকাশ করেন।
বেজগাঁও ইউনিয়ন জামিআ কাসেমিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আলহাজ্ব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মাঝি বলেন, আমাদের এই প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা-দীক্ষায় মান উন্নতি ও অগ্রগতির পথে ধাবমান। গত দুই বছর যাবৎ বাংলাদেশ বেফাক বোর্ডে ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি। এছাড়া আমাদের বর্তমান কমিটি এই মাদ্রাসার আরো একটি বর্ধিত ভবন তৈরি করছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আমরা খুবই আন্তরিক। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা আমরা করি। এ প্রতিষ্ঠানের পাশে থেকে কাজ করতে আমার অনেক ভাল লাগে।
বেজগাঁও ইউনিয়ন জামিআ কাসেমিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি জামিল আশরাফ রব্বানী বলেন, আমরা প্রায় ২৪ জন শিক্ষাদাতা হিসেবে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া শিক্ষা দেই। বতর্মানে এ মাদ্রাসায় বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৪শত শিক্ষার্থী আছে। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষাদাতাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ এবং যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে পাঠ শেখানো হয়। এছাড়া তিনি বলেন, গত বছর আমাদের মাদ্রাসায় ফলাফল ভালো ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সফলতা পেয়েছে ছাত্ররা। সামনো আরো ভালো ফলাফল করার চেষ্টা আমাদের। সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন এবং যথাসম্ভব সহযোগিতা করবেন। আল্লাহ্র অশেষ রহমতে ছাত্রদের সুশিক্ষিত ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলব।