নিজস্ব প্রতিবেদক
লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের গ্রামের শতাধিক পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সড়কটি রাতের অন্ধকারে একই এলাকার বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্তরা কেটে পুকুরে মাটি ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই গ্রামের বাসিন্দা হাজী মো. সানাউল্লাহ, মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার, আব্দুর রহমান, মো. দুলাল শেখ জানান, মৃত সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার এম.এ সাদেক এর বাড়িটি এই বংখিরা গ্রামে বড় বাড়ি নামে পরিচিত। তার পরিবারের সবাই প্রবাসে। তার ছেলে আলমগীর হোসেন কয়েক বছর পরপর প্রবাস থেকে দেশে এসে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ-কর্ম যেমন- রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদরাসা ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় বংখিরা জামে মসজিদের পাশ দিয়ে একটি পায়ে হাঁটার রাস্তা যা ভাঙ্গা, নিচু ও চলাচলের অনুপযোগী এবং এই এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস। রাস্তাটির অভাবে এই এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলোকে খুবই অসুবিধার মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়। রাস্তার জায়গাটি আলমগীর ও তার বাড়ির পাশর্^বর্তী বাসিন্দা আবু তালেব ও মীর মহব্বত হোসেনের এজমালি সম্পত্তি। উভয়পক্ষের প্রয়োজনে এবং এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে একক প্রচেষ্টায় চলাচলের এই রাস্তাটি নির্মাণ করে দেন আলমগীর হোসেন। রাস্তাটি নির্মাণকালীন সময় থেকে আবু তালেব ও মীর মহব্বত বাধা প্রদান করে আসছে। একপর্যায়ে শত বাধা অতিক্রম করে প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এরপর প্রতিপক্ষ আবু তালেব ও মীর মহব্বত সড়কটি কেটে দিতে এবং বন্ধ করে দিতে নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে তারা প্রবাসী আলমগীর হোসেনকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেন রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য। বিষয়টি এলাকাবাসী জানার পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আবু তালেব গংরা। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিলে নবনির্মিত পাকা সড়কটির নিচ থেকে মাটি কেটে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সড়কের নিচের মাটি কেটে ফেলে দেয়ায় পাকা সড়কটির ভিতরের অংশে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে রাস্তাটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে যেকোন সময় পথচারী চলাচলে ধ্বসে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বড় রকমের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রবাসী আলমগীর হোসেন জানান, আমি প্রবাসে থেকেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করি। এই রাস্তাটি আমার খুব একটা প্রয়োজন নেই। কারণ আমি বাড়িতে থাকি না। কয়েক বছর পরপর দেশে আসি মাটির টানে, এলাকাবাসীর টানে। আমার এখানে কারও সাথে শত্রুতা নেই। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এবং বাড়ির পাশে বেশকিছু পরিবার দীর্ঘদিন যাবত যাতায়াতের কষ্ট করছে তাই আমি নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি করে দেয়ার পরিকল্পনা করি। বর্তমানে রাস্তাটির বাকি অংশ দুর্বৃত্তদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে রাতে পাহারা বসানো হয়েছে এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুল আউয়াল জানান, সড়কটির বিষয়ে উভয়পক্ষের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।