নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক অসহায় পরিবারের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর বালাশুর এলাকায় অসহায় আরজুবান নেছার স্বামীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার স্থানীয় কুদ্দুস ঢালী গংদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অসহায় আরজুবান নেছা বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ১১২/২০ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আরজুবান নেছার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাঢ়ীখাল মৌজাস্থিত আর.এস ৪৩৯৩ খতিয়ানভুক্ত ৮৭৬/২৩ দাগের ৪৪.৬০ শতাংশ সম্পত্তি ভুক্তভোগীর স¦ামী হাবিবুর রহমান হবি ফকির ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় গত ২০১৯ সালে ভুক্তভোগীর সম্পত্তির উপর দিয়ে উত্তর বালাশুর পর্যন্ত একটি সরকারী পাকা রাস্তা নির্মিত হয়। উত্তরে দক্ষিণে এ রাস্তা হওয়ায় ভুক্তভোগীর সম্পত্তির কতক অংশ রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বের অংশে রয়ে যায়। উক্ত সম্পত্তি বিভিন্নভাবে জোর দখল নেয়ার জন্য ঐ এলাকার স্থানীয় মৃত রহমান ঢালীর ছেলে কুদ্দুস ঢালী (৫০), মৃত মহর শেখের ছেলে শফিউদ্দিন (৬০), মৃত হাকিম হাওলাদারের ছেলে ইউনুছ হাওলাদার (৪৫), সত্তর হাওলাদার (৪০), মৃত মোঃ আকনের ছেলে সাবেক মেম্বার বতু আকন (৫২), মৃত সোলায়মান শেখের ছেলে কাশেম শেখ (৪০) ও মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী (৪৫) গং দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কুদ্দুস ঢালী গং কোন সালিশ মীমাংসা না মেনে জোর করে সম্পত্তি ভরাট করার পায়তারা করে। এতে ভুক্তভোগী পরিবার বাঁধা দিতে গেলে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। জমি দখলের পায়তারা করার ব্যাপারে কুদ্দুস ঢালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যাদের কাছ থেকে এ সম্পত্তি ক্রয় করেছি তারা বাদী পক্ষে দায়ের করা মামলায় রায় পেয়েছে। আদালতের রায়ের কপি দেখতে চাইলে তিনি কপি দেখাতে পারেন নাই।
রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুলতান বলেন, আমি অনেকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্ত ২য় পক্ষ সালিশ মীমাংসা না মেনে উল্টো হবি ফকিরের সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করে আসছে।
রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান আঃ বারেক খান বারী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ আসেনি। আমার কাছে আসতে বলেন আমি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করবো। আর যদি না হয় তাহলে কোর্টে মামলা চলছে ওখানে লড়বে।