নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী, সন্তান মিলে ঝাড়ু দিয়ে বেদম পিটিয়ে স্বামীকে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌণে ২টার দিকে উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাড়ৈখালী এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা ঘাতক স্ত্রী রোকসানা বেগম (৫২)কে আটক করে রাখে। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে শ্রীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ছলিম শেখ (৫৫) এর লাশ উদ্ধার করেন এবং ঘাতক স্ত্রী রোকসানা বেগমকে আটক করেন। নিহত ছলিম শেখ উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাড়ৈখালী এলাকার শেখ আউয়ালের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মৃত ছলিম শেখের প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর একটি মেয়েসহ ২য় স্ত্রী হিসেবে রোকসানা বেগমকে বিয়ে করে। দীর্ঘদিন যাবত ছলিম শেখ সৌদি আরবে থাকতেন। গত ৫ বছর পূর্বে একবারেই দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর থেকেই স্ত্রী রোকসানা বেগমের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। ঘটনার দিন দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী রোকসানা বেগম তার আগের স্বামীর সন্তান রোজিনা বেগম (৩০)কে নিয়ে স্বামী শেখ ছলিম (৫৫)কে ঝাড়ু দিয়ে পিটাতে পিটাতে বাড়ির গেইটের বাহিরে নিয়ে আসে এবং তার গলায় ধরে বালিতে মুখ থুবড়ে ধরে। এতে ঘটনাস্থলে স্বামী ছলিম শেখের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে রিনা বেগম বলেন, আমি বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। এসময় দেখি ছলিম শেখকে তার স্ত্রী রোকসানা বেগম ঝাড়ু দিয়ে পিটাতে পিটাতে উলঙ্গ করে ফেলছে। এই দেখে লজ্জায় আমি বাধা না দিয়ে চলে যাই।
বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ফারুক হোসেন বলেন, ঘাতক স্ত্রীকে আমরা আটক করে রেখেছি। রোকসানা বেগম নিহত ছলিম শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার স্বভাব চরিত্রও নাকি ভাল ছিল না বলে এলাকাবাসী জানায়।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক স্ত্রীকে গ্রেফতার এবং মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।