নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় দুই পরিবারের দ্বন্দ্বে প্রায় ২শত ফুট রাস্তার অভাবে শতাধিক পরিবার ভোগান্তি পোহাচ্ছে। উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দ্রা গ্রামের সিরাজ শেখ ও হারুন কাজীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নে দক্ষিণ মান্দ্রা গ্রামের রহিম শিকদারের বাড়ি থেকে সিরাজ শেখের বাড়ি পর্যন্ত ৮ ফুট প্রস্থ করে রাস্তাটি নির্মাণ করার কথা ছিল। সিরাজ শেখের নারিকেল গাছ ও বিপরীত পাশে হারুন কাজীর জায়গায় ইটের প্রাচীর থাকার কারণে কাজটি অসম্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। গাছ ও প্রাচীরের জন্য রাস্তাটি এখন এতোটাই সরু হয়ে রয়েছে যে একটি সাইকেলও ঠিকমত চলাচল করতে পারে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তছলিমা বেগম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোক চলাচল করে। রাস্তাটি তারা না দেওয়ায় এলাকায় কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে অনেক কষ্ট হয়। এছাড়া কেউ মারা গেলে তার খাটিয়া নিয়ে তো বের হওয়াই যায় না। সিরাজ শেখের কিছু জায়গা ছেড়ে দিলে রাস্তাটা সম্পন্ন হয়ে যায়।
সূর্য বানু নামে অন্য একজন বলেন, তাদের দুইটি পরিবারের জন্য দৈর্ঘ্যে প্রায় ১ শত ফুট রাস্তা চেপে প্রস্থে ২/৩ ফুট হয়ে গেছে। বৃষ্টি ও বন্যায় অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে, মৃত্যু ব্যক্তির খাটিয়া নিয়ে, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও বয়স্ক লোকদের মসজিদে নামাজ পড়তে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
সিরাজ শেখ বলেন, এই রাস্তা এলাকাবাসীর দরকার, আমার দারকার না। সেই জন্য আমার দলিলকৃত জায়গা থেকে আমি রাস্তা দিবো না।
হারুন কাজী জানায়, আমি পূর্বে আমার প্রতিবেশী সিরাজ এর কাছে বলেছি আপনি ২ ফুট জায়গা ছাড়েন আমিও ছাড়ি। কিন্তু তারা দিতে রাজি হয়নি। আমি জায়গাটি ভরাট করে ফেলেছি, এখন ছাড়া সম্ভব না।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, ব্যক্তিগত রাস্তার ক্ষেত্র উভয়পক্ষ যদি একমত না হয় সেখানে আইনগতভাবে তেমন কিছু করার থাকে না। আমাদের যদি আইনগতভাবে কিছু করণীয় থাকে তবে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ডেকে ব্যবস্থা নিব।
শ্রীনগরে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বে সামান্য রাস্তার অভাবে শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি
আগের পোস্ট