নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আধুনিক হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে হাসপাতালটি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের ৩ জন রক্ষণাবেক্ষণে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হাসপাতালের ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন হাসপাতালটির মালিক হারুন বেপারী। জানা যায়, গত কয়েক বছর পূর্বে উপজেলার ডাকবাংলো সংলগ্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীনগর আধুনিক হাসপাতালটি। প্রতিষ্ঠার পর সুনামের সাথে এই উপজেলায় তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও আধুনিক প্রপার্টিজ দেউলিয়া হয়ে যায়। আধুনিক হাসপাতালের সাবেক চেয়ারম্যান এম এস আব্দুস সালাম প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারী মোঃ হারুন বেপারীসহ ৬ জন অংশীদরকে ৩ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণে হাসপাতালের সকল মালামালসহ হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে আরো শতাধিক বিনিয়োগকারী এসে বর্তমান মালিকদের নিকট তাদের বিনিয়োগের টাকা ফেরত চাইলে তৎকালীন এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ উভয়পক্ষকে ডেকে একটি সমাধানে বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত মতে হাসপাতালটি পরিচালনার মাধ্যমে আয় করে ৪ বছরের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ফেরত দেয়ার শর্তে বেজগাঁও গ্রামের ফিরোজ আল-মামুন, শ্যামসিদ্দি গ্রামের ফারুক হোসেন ও হরপাড়া গ্রামের ডিএমদেরকে হাসপাতাল পরিচালনা কারার দায়িত্ব দেন। দায়িত্বের ৪ বছর পেরিয়ে গেলে অংশীদারদের টাকা ফেরত না দিয়ে আধুনিক হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে তারা। বর্তমান নাম দেয় শ্রীনগর মর্ডান হাসপাতাল। এতে মূল মালিক হারুন বেপারীসহ ৬ জন অংশীদার তাদের মালিকানা চাইতে গেলে ফিরোজ আল-মামুনসহ তার সহযোগীরা বর্তমান মালিকদের ভয়-ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভোগী হারুন বেপারী জানায়, এমপি সাহেবের নির্দেশে ফিরোজ আল-মামুুন গংদের ৪ বছরের জন্য আধুনিক হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু এই ৪ বছরে তারা হাসপাতালটি থেকে আয় করে কোন অর্থই বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেয়নি এবং উল্টো আধুনিক হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে মর্ডান হাসপাতাল নাম ধারন করেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।