নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন (সেকমো) মলিনা পারভীন হাসপাতালে বসেই এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন। আরো বলেন, ভেতর থেকে নাম্বার দিলো সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের কিন্তু ভাড়া নেওয়ার সময় বলে ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্স। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ ঢাকা রেফার্ড করা ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের নিজের ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে পটিয়ে বা সরকারি এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট বলে তার নিজের গাড়ি ব্যবহার করার জন্য মিথ্যাও বলে। এতে তিনি বিশাল তবিয়তে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল বাউন্ডারিতে ২-৩টি এ্যাম্বুলেন্স রাখা আছে। ড্রাইভার কেউ গাড়ীর সামনে নেই, কল দিলেই দেখা মেলে এদের। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, একটি এ্যাম্বুলেন্সের মালিক সরকারি কর্মরত একজন জরুরী বিভাগের কর্মচারী মলিনা পারভীন পদবী সেকমো। দীর্ঘ ৯-১০ বছর যাবত এখানে কর্মরত আছেন বলে এমনভাবে ব্যবসা করতে পারছেন বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স থাকার পরেও বিভিন্ন অজুহাতে তিনি রোগীদের ফোন নাম্বার ধরিয়ে দেন। রোগীর স্বজনরা কিছু বুঝে উঠার আগেই রোগীকে গাড়িতে তুলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ড্রাইভার আপত্তি বাঁধে ভাড়া দিতে গেলে। রোগীর স্বজনদের বলে এটা সরকারি এ্যাম্বুলেন্স না ব্যক্তিগত তাই ভাড়া বেশি। দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে ১০০০-১৫০০ টাকা বেশি ভাড়া আদায় করছে এসব গাড়ি। এ বিষয়ে মলিনা পারভীনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার নাম্বারটি ০১৭২৫৭৯০০২৪ ব্যস্ত পাওয়া যায়। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিএইচও ডাঃ রেজাউল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও মলিনা পারভীনকে জিজ্ঞাসা করেছি। কিন্তু সে অস্বীকার করে। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স থাকার পরেও ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক, বিষয়টি আমি দেখছি। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত না। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রমরমা এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা
আগের পোস্ট