নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাঁচলদিয়া গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বসতঘর ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে পাঁচলদিয়া গ্রামের সরদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষ আজাহার সরদারের পুত্র সাব্বির সরদারের নেতৃত্বে হামলার শিকার প্রতিবেশী বাদল সরদারের স্ত্রী আছমা বেগম, তার পুত্রবধূ মিম আক্তার ও সেলিনা আহত হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আছমা বেগম অভিযুক্ত সাব্বির সরদার, আজাহার সরদার, শাহ আলম সরদার, হৃদয় হাওলাদার, জাহাঙ্গীর সরদার, মোতালেব হাওলাদারসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচলদিয়া সরদার বাড়ির বাদল সরদার গং ও মোতালেব হাওলাদার গংদের মধ্যকার বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী আজাহার সরদার ও শাহআলম সরদার গং অতি উৎসাহী হয়ে মোতালেব হাওলাদারের সাথে যোগ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুন বাড়ির রাস্তাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে বাদল সরদারের বসতঘর ভাংচুর করে আজাহার সরদার গং। প্রতিবেশী জুম্মন নামে এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিপক্ষের এক মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য গত বুধবার রাতে সরদার বাড়িতে বাদল সরদারের ভাই আউয়াল সরদারকে ধরে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরেই প্রতিপক্ষ সাব্বির সরদার ও তার বাপ-চাচারা প্রতিপক্ষ বাদল সরদারের বসতঘরে প্রবেশ করেন। এসময় বাদল সরদার ও তার ছেলেরা বাড়িতে ছিলেন না।
ভুক্তভোগী আছমা আক্তার বলেন, জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আজাহার সরদার গং এই হামলা চালিয়ে ঘরের ভিতরে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আমাদেরকে মারধর করে। চিকিৎসা নিয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু জানান, এ ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি।
এ বিষয়ে জানতে সাব্বির সরদারের সাথে যোগাযোগ করে তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
শাহআলম সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদল সরদারের ঘরে ভাংচুর ও হামলার সময় আমি নওপাড়া বাজারে অবস্থান করছিলাম।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।