নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ কামারগাঁও ও মাঠপাড়া লোকালয়ের মাঝে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বেশকিছু মিনি বালু মহাল। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসব বালু মহাল গড়ে উঠার ফলে নাকাল এলাকাবাসী। নষ্ট হচ্ছে স্থানীয় সব রাস্তাঘাট। যত্রতত্র মিনি বালু মহালে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। বিশালাকার বালুর স্তুপ থেকে বাতাসে প্রতিনিয়ত উড়ে আসছে অসংখ্য বালুকণা। এতে বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ধূলাবালিচ্ছন্ন হচ্ছে। বালুভর্তি বিভিন্ন ট্রলির ওভারলোডিংয়ে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সব রাস্তাঘাট। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের ভয়ে এলাকায় মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাগ্যকুল এলাকার দক্ষিণ কামারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার পাশে মোয়াজ্জেম সারেং ১টি, মালয়েশিয়া প্রবাসী মনির হোসেন নিয়ন্ত্রিত শামীমের ৩টি, মাঠপাড়া রাস্তার পাশে শাহআলমের ২টি, কামারগাঁও বাজারের পাশে কামারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর সংলগ্ন জহের বেপারীর ১টি, ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ১টিসহ বেশ কয়েকটি মিনি বালু মহাল গড়ে উঠেছে। ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন বসতবাড়ি ও রাস্তার পাশে প্রায় ১২-১৫ ফুট উঁচু করে বিশালাকার বালুর স্তুপ করা হয়েছে। বালরু স্তুপ থেকে পানি চুইয়ে রাস্তায় ও বসতবাড়িতে ঢুকছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। রাস্তাগুলোতে কাদা জমে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। দিনরাত সমান তালে ড্রাম ট্রাক, মাহিন্দ্রাসহ অন্যান্য ট্রলিতে করে স্তুপের বালু বিক্রি করা হচ্ছে। বালুভর্তি এসব ট্রলির ওভারলোডিংয়ে এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে। ট্রলির বালু পড়ে রাস্তায় ধূলোবালির সৃষ্টি হচ্ছে। বালু ব্যবসায়ীদের এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কায় পড়েছেন। স্থানীয়রা জানায়, বালু মহাল থেকে পানি চুইয়ে রাস্তাঘাট জলাবদ্ধ ও কাদার সৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসে উড়ে বালু এসে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে নাকাল হচ্ছে। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু ও পথচারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। লোকালয় থেকে বালু মহাল অপসারণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
বালু ব্যবসায়ী মো. মোয়াজ্জেম সারেং বলেন, মাঠপাড়ায় জায়গাটি ভাড়া নিয়ে বালুর ব্যবসা করছেন। জায়গা ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে বালু ব্যবসা ছেড়ে দিবেন তিনি।
শামীম বলেন, সবাই এভাবে ব্যবসা করছে তাই আমরাও করছি। বালুর স্তুপের পানি এসে রাস্তায় পানি ও কাদা জমার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অল্প একটু রাস্তা নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহআলম সারেং জানান, তিনি বালুর ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি দাবী করেন, তার বাড়ির পাশে বালু মহালে এখন বালু নেই।