নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বসতবাড়ির পাশে প্রবাসীর দেয়া গরু ও ভেড়ার খামারে স্বাস্থ্য হুমকিতে ৫টি পরিবার। শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুন্সীয়া গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী মেহেদী হাসান লিটন এ গরুর খামার স্থাপন করেছেন। গরুর খামারে পাশে বসবাসকারীরা গরুর খামারের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিষেধ করলেও মেহেদী হাসান লিটন কারো তোয়াক্কা না করে এ খামার স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো প্রতিকার পেতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে।
ভুক্তভোগী মোঃ আলমগীর বলেন, গত ৬ মাস যাবৎ আমার বাড়ির পাশে সীমানা ঘেঁষে একটি খামার করেছে প্রতিবেশী মেহেদী হাসান লিটন। ঘর তোলার সময় থেকে আমরা স্থানীয়ভাবে নিষেধ করেছি। ৫টি পরিবারের বাড়ির মাঝে কোনপ্রকার তোয়াক্কা না করে এ খামার দিয়েছেন তিনি। খামার দিলে কোন একটি সাইডে দিতে পারতেন তিনি। এখন এমন অবস্থা হয়েছে জানালা খুলে রাখা কষ্টকর। আমরা দ্রুত এখান থেকে খামারটি সরানোর দাবি জানাচ্ছি।
আরেক ভুক্তভোগী এলিন জানান, আমার বসতঘরের দেয়াল ঘেঁষে এ খামার করা হয়েছে। বাতাসে দুর্গন্ধ আসে আমার ঘরে। বাড়িতে আমার বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি ছিল। আমার বাচ্চাদেরও একই সমস্যা হয়। আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, তারও গন্ধে অসুস্থ অনুভব হয়। প্রতিদিন সকালে স্প্রে করে খামারে। সবমিলিয়ে আমি, আমার পরিবার অস্বস্তিতে আছি। স্থানীয়ভাবে অনেকবার সমস্যার কথা জানানোর পরেও তারা কোন তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোন প্রতিকার না পেয়ে আমরা ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী বরাবর আবেদন করেছি। আমরা এই সমস্যা থেকে রেহাই চাই।
আরেক ভুক্তভোগী সুফিয়া বেগম বলেন, আমার ঘরের দেয়াল ঘেঁষে এ গরুর খামার করেছে। ঘরে বসা যায় না। জানালা খুললেই গন্ধে থাকা যায় না। খাবার যে খেতে বসব তাও বসা যায় না। আমি এর প্রতিকার চাই। চারদিকে বসতবাড়ির মাঝে এমন খামার সরানো হোক।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনজাম মাসুদ লিটনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাকে বিষয়টি অবগত করেছে। আমি চেয়ারম্যান মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করবো।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত আবেদন পেয়েছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।