নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে প্রতিদিন বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর ব্যথা নিয়ে আসা রোগীর ভিড়। কেউ আবার বাসায় বসে ঘরোয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ উপসর্গগুলো দেখা দিচ্ছে। দেশে দিন-রাতের তাপমাত্রা বাড়ছে-কমছে। এই রোদ, এই বৃষ্টি। এই গরম, এই ঠান্ডা। খেয়ালি এই আবহাওয়ার সঙ্গে বাড়ছে সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো মৌসুমী রোগ। সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে গরম গরম ভাব দেখে অনেকেই ঘরে ফ্যান বা এসি চালিয়ে রাখছেন। রাতে ঘুমানোর সময়েও তা বন্ধ করা হয় না।
শ্রীনগরের ফার্মেসির দোকানদার রঞ্জিত দাস বলেন, কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশির ঔষধ নিতে রোগীরা আসছেন। নিজ থেকে কোনো ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। শ্রীনগর নিবেদিতা নবজাতক ও শিশু কনসালটেশন সেন্টারে প্রফেসর ডাঃ এস কে ঘোষকে দেখাতে এসেছেন তানজিমা আক্তারের একমাসের মেয়ে এজমানুর আহাম্মেদ খাদিজাকে। ২ দিন যাবত ঠান্ডা লেগেছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এদের অধিকাংশই ঠান্ডাজ্বরজনিত রোগী।
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের এই সময়ে প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্ন। শীতকালে ভাইরাস বেশি কার্যকর হয়ে যায়। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় এসময় তাদের অনেক বেশি রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এসব রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শিশুদের পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। তাই এসময় শিশুদের এমন কিছু খাবার দিতে হবে যা তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং শরীরে শক্তি যোগাবে।
শ্রীনগরে বাড়ছে শিশুদের জ্বর, সর্দি ও কাশি
আগের পোস্ট