নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ব্যাটারির পানি তৈরীর কারখানার আড়ালে গড়ে উঠেছে লাইন্সেসবিহীন অবৈধ এসিড তৈরীর কারখানা। বেশ কয়েক মাস যাবৎ উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রাণীমন্ডল গ্রামে সেলামতি-প্রাণীমন্ডল যাতায়াতের ইটের রাস্তা সংলগ্ন উত্তর পাশে এই অবৈধ এসিড তৈরীর কারখানা গড়ে তুলেছে। প্লাস্টিকের বোতল ভর্তি পানি গায়ে লেখা এস.এ পাওয়ার হামকো ব্যান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে এসব পানি বাজারজাত করা হচ্ছে এবং এর আড়ালে একটি দোচালা টিনের ঘরের পিছনে এসব অবৈধ এসিড তৈরী করছেন ঐ গ্রামের শেখ হযরত আলীর ছেলে সোহেল ও বাছের মৃধার ছেলে এমদাদ মৃধা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোহেল তার নিজ বাড়ির দক্ষিণে গরুর ফার্ম সংলগ্ন টিনের ঘরের ভিতরে প্লাস্টিকের বোতলে এসিডযুক্ত পানিসহ ঘরের উত্তর পাশে নীল রঙের কয়েকটি বড় বড় প্লাস্টিকের ড্রামসহ বেশ কিছু গ্যালনের মধ্যে এসিডযুক্ত পানিভর্তি করে রেখেছে। ৫ লিটার প্লাস্টিকের বোতলের গায়ে লেখা এস.এ পাওয়ার হামকো। প্লাস্টিকের গ্যালনে এসিডযুক্ত পানিভর্তি অবস্থায় দেখা গেছে। প্রতিনিয়ত সোহেল ও এমদাদ ব্যাটারির পানি তৈরীর ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে এসিডের ব্যবসা করে আসছে।
এ ব্যাপারে এসিড কারখানার মালিক সোহেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার ভাগিনা এমদাদসহ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স ও টিন লাইসেন্স নিয়ে যৌথভাবে এই কারখানা দিয়েছি। আর লাইসেন্সধারী এক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডাইলেশন করা এসিড এনে ব্যবহার করছি। প্লাস্টিকের ড্রাম ও গ্যালন ভর্তি এসিড পানি এখানে কেন? জানতে চাইলে পার্টনার এমদাদ জানান, এগুলো ডাইলেশন করা এসিড।
একটি সূত্র জানায়, এমদাদ আগে একটি এসিড তৈরীর কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। সেখান থেকে কাজ শিখে এখন তার প্রতিবেশী মামা সম্পর্কের সোহেলকে নিয়ে ব্যাটারির পানি তৈরীর কারখানার আড়ালে এসিড তৈরী করে বাজারে বিক্রি করছে।
রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারী বলেন, এসিড তৈরীর জন্য আমি কিভাবে পারমিশন দিব? আপনারা এগুলো একটু বন্ধ করেন। আমি এখনই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশারফ হোসাইন বলেন, আমরা এটার খোঁজ নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নিচ্ছি।