নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার এক প্রবাসীর কন্যা জেসমিন জলিল ওরফে জলি মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার তিনি মামলা ও হয়রানির প্রতিকার চেয়ে এই আবেদনটি করেছেন।
আবেদন পত্র থেকে জানা যায়, শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের বাসিন্দা জেসমিন জলিল ওরফে জলি তার বাবা আব্দুল জলিল ও মা নুরজাহান লন্ডন প্রবাসী। মা ও বাবা দুজন প্রবাসী হওয়ায় ষোলঘর ইউনিয়নের একই গ্রামে জলি ও তার প্রতিবেশী ষোলঘর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল হোসেন ও তার ভাই মতিন, মো. সামাদ একই বাড়িতে বসবাস করে। সম্পর্কে তারা প্রতিবেশী। কিন্তু ষোলঘর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল হোসেন বাড়ির জয়গা-জমি নিয়ে জলির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করলে জলি নিজেকে রক্ষায় ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় বসবাস শুরু করে। মাঝেমধ্যে নিজেদের বাড়িঘর দেখতে ষোলঘরে আসে। সেখানে ঘরের মেরামতসহ অন্যান্য কাজ করতে গেলে বাধা সৃষ্টি করে ইউপি মেম্বার বিল্লাল। সে এখন তাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে এজমালী সম্পত্তি বন্টনের জন্য শ্রীনগর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা করে। আমিন নিয়ে জলি তাদের সম্পত্তি মাপঝোক করতে গেলে নানা অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করে।
ভুক্তভোগী জলি বলেন, শুধু তাই নয়, আমার একমাত্র ছেলে তানভির হোসেন বর্তমানে ঢাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণির ইংরেজী ভার্সনের মেধাবী ছাত্র। আমাকে ও আমার ছেলে তানভিরকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও সামাজিকভাবে হয়রানি করার জন্য মুন্সীগঞ্জ বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং- ১০১/২০২৩। আমার পিতা-মাতা প্রবাসী হওয়ায় সুযোগ বুঝে আমাকে আমাদের সম্পত্তি থেকে উৎখাত করতে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
জেসমিন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনপত্রে দাবী জানিয়ে বলেন, বিবাদী ষোলঘর ইউনিয়নের ৬নং ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, তার ভাই মতিন ও প্রতিবেশী সামাদরা যাতে আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করতে না পারে তার প্রতিকার চাই। এছাড়াও আমার একমাত্র পুত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে যাতে হয়রানি করতে না পারে সেজন্য সহযোগিতা চাই। এছাড়া আমি আমাদের বাড়ি-ঘর রক্ষায় সহযোগিতা চাই।
এদিকে এ বিষয়ে ষোলঘর ইউনিয়নের ৬নং ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলি আমাদের চাচাতো বোন। তার দাবী করা অভিযোগগুলো সত্য নয়। তাদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। আমার ভাইদেও নিয়ে তারা সামাজিকভাবে বসলে তাদের দাবী করা সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। জমি দখলের সাথে আমি বা আমার পরিবারের কেউ জড়িত না। যদি আমার জড়িত থাকার প্রমাণ পায় তাহলে জেসমিন জলি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তার বাবার সম্পত্তি তার বাবা দেশে আসলে তার সামনেই প্রয়োজনে বুঝিয়ে দেবো। আমি একজন এলাকার মেম্বার। আমার কাজ দখল বা মামলা করা না। আমার কাজ জনসেবা করা।