নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাত জোটের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় রামপাল ইউনিয়নের হাতিমারা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুন্সীগঞ্জ পৌরভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের দোসররা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দিতে চেয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পনা করছে। আগামীতে যেকোন ধরনের ষড়যন্ত্র রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। ২০০৪ সালের মতো আগামীতে বিএনপি-জামায়াত যাতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম না করতে পারে সেজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান লাকুম এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুল কবির মাষ্টার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধা, রামপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বেপারি। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা আওলাদ হোসেন পুস্তি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আসলাম মিল্টন, শহর ছাত্রলীগ সভাপতি নছিবুল ইসলাম নোবেল, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন সাগর, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শাখার সভাপতি নিবিড় আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর বেপারি, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিস্তিয়া বেপারি প্রমুখ।
এর আগে গতকাল সোমবার বাদ জোহর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাত জোটের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সোহেল রানা রানু, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলি, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান, সহকারী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়ঃ) আনিছুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান অটল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর খাইরুল ইসলাম, কাউন্সিলর সাত্তার মুন্সিসহ সকল কাউন্সিলর এবং পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।