নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কলেজ গেইট সংলগ্ন পোদ্দার বাড়ির নাকের ডগায় রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। নোংরা দুর্গন্ধে আশপাশের লোকজন অতিষ্ঠ। এতে যেমন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে এলাকাবাসী। তীব্র পঁচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরাও।
অনেকেই বলছেন, ডাস্টবিনের অভাবে যত্রতত্র জন চলাচলের রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীনগর ইউনিয়নের ভাগ্যকুল রোড কলেজ গেইট সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় মধ্যস্থ একটি মালিকানা নিচু জমি নিয়মিত ময়লা ও আর্বজনা ফেলে স্তুপে রূপ নিয়েছে।
আশেপাশে কোন ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না থাকায় মাসব্যাপী তাঁতশিল্প মেলার স্টলের পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও আর্বজনা ফেলে স্তুপে পরিণত করেছে। মানা করলেও প্রভাবশালীর একটি মহল কর্ণপাত করছে না। এ অবস্থায় বাড়িতে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে এমনটাই অফিযোগ করে বলেন জায়গার মালিকের চাচাতো ভাই সঞ্জিত পোদ্দার।
এ ময়লার স্তুপ থেকে বাতাসের সাথে বিষাক্ত দুর্গন্ধ প্রবেশ করার ফলে পরিবেশ নষ্ট হয়ে বসবাস ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তার পাশে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন স্থানে ময়লার ভাগাড়টির কারণে এলাকায় অসুস্থ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ময়লার স্তুপের কারণে নাকে রুমাল ব্যবহার করে যাতায়াত করছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। শুধু তাই নয়, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা থাকায় এডিস মশা, মাছি বংশবিস্তার করছে।
এক পথচারী বলেন, রাস্তার পাশে এই নোংরা পরিবেশে চলাচলের সময় দম বন্ধ হয়ে আসে। শ্রীনগরে পৌরসভা হলে ময়লা-আবর্জনা দূর করার পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও হবে। আর না হলে আধুনিক শ্রীনগর গঠনে আমরা পিছিয়ে যাবো।
জায়গার মালিক রাজেশ পোদ্দার বলেন, চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করি। মাস পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে আসার সুযোগ হয় না। শুনেছি, আমার জায়গার পাশে মেলা বসিয়ে পাশের জায়গার মালিক ব্যবসা করে আসছে। ভালো কথা, কিন্তুু ময়লা-আর্বজনা ফেলে আমার জায়গাটাকে নোংরা পরিবেশে পরিণত করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া ময়লার স্তুুপের দুর্গন্ধের জন্য এলাকার অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে।