নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে রেলওয়ের জায়গা দখল করে একটি হাউজিং প্রপার্টির স্বার্থে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ষোলঘর কেয়টখালী রেলওয়ের আন্ডারপাশের দক্ষিণ দিকে রেলওয়ের ভূমির ওপর দীর্ঘ রাস্তাটির নির্মাণ কাজ চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, ষোলঘর ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মকদমের নেতৃত্বে রেল লাইনের পশ্চিম পাশে পুষ্পধারা হাউজিংয়ের স্বার্থে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে, স্থানীয় পিআইও অফিস (কাবিখা) রাস্তার কাজে বরাদ্দ দিয়েছে। অথচ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কার্য সহকারী জানান, উল্লেখিত জায়গায় কাবিটার কোন বরাদ্দ হয়নি।
রেল লাইনের পাশে বসবাসকারীরা জানান, কয়েক মাস আগে মকদম মেম্বার তাদেরকে বলেছেন, এখান দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অনুমোদন এনেছেন। এই মর্মে ওই এলাকার বসবাসকারীদের কাঁচা-পাকা স্থাপনা ভাঙ্গার পাশাপাশি অসংখ্য গাছপালা কাটা পড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাস্তা নির্মাণ কাজের জন্য ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের কেয়টখালী রেলওয়ের আন্ডারপাশ সংলগ্ন দক্ষিণ দিকে পুষ্পধারা হাউজিং প্রপার্টি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ড্রাম ট্রাকে করে বালু ফেলা হচ্ছে। রেল লাইনের নয়নজুলী থেকে প্রায় ২০ ফুট প্রস্থে বালু ভরাট করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে মকদম মেম্বার এলাকাবাসীর স্বার্থে রাস্তাটি নির্মাণের কথা বলে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের স্বাক্ষর নেন। এখন বলছেন ঘরবাড়ি ও গাছপালা কেটে নেয়ার জন্য। তাই বাধ্য হয়ে করছি। আক্তারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বলেন, মকদম মেম্বার বলেছেন সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে তাই স্থাপনা সরিয়ে নিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আওলাদ হোসেন বলেন, আমার জানামতে পিআইও’র বরাদ্দ হয়নি। তারপরেও রাস্তা নির্মাণের জন্য আমার বসতবাড়ির পাকা স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলছি।
এ বিষয়ে জানতে পুষ্পধারার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মকদম হাওলাদারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাবিখা’র বরাদ্দে এলাকাবাসীর জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাবিখা’র (কাজের বিনিময় টাকা) বরাদ্দে রাস্তার কাজে কেন ড্রাম ট্রাকে করে রাতের আঁধারে বালু ফেলা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। রেলওয়ের জায়গার ওপর দিয়ে নির্মাণাধীন রাস্তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। শ্রীনগর উপজেলা সহকারী (ভূমি) সাফফাত আরা সাঈদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।