নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের উত্তর সেলামতি, দক্ষিণ সেলামতি ও মত্তগ্রামের বিলে শতাধিক কৃষকের প্রায় ৫০ একর ফসলী জমি রয়েছে। এ জমিগুলো বর্ষার সময় পানিতে তলিয়ে যায়। পানি শুকিয়ে গেলে জমিগুলোতে ইরি ধানের একটি মাত্র ফসল ফলায় কৃষকরা। বোরো মৌসুমে ফসলী জমিতে পানি দেওয়ার জন্য সেলামতি গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিনের একমাত্র সেচ প্রকল্প রয়েছে। এ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিতে পানি দেওয়ার ফলে ফলন ভাল হয়। ফসলী জমির উপর দিয়ে সেলামতি দুলাল মিয়ার বাড়ী হতে রিয়াজ উদ্দিনের সেচ প্রকল্প পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। রাস্তাটি নির্মাণ হলে শতাধিক কৃষকের প্রায় ৫০ একর জমির ফসল আবাদে ব্যাহত হবে বলে কৃষক মোঃ হারুন জানায়। এ ব্যাপারে ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের স্বাক্ষর নিয়ে সেচ প্রকল্পের মালিক রিয়াজ উদ্দিন রাস্তাটি বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রীনগর বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। কৃষক হারুন আরো জানান, রাস্তাটি ইব্রাহীম বেপারী নিজের বাড়ীতে যাওয়ার সুুবিধার জন্য নির্মাণ করছে। রাস্তাটি নির্মাণ হলে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশী হলে বলে দাবী করেন ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
এ ব্যাপারে শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও রাস্তা নির্মাণের সভাপতি শাহ-আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২ বৎসর আগেই এ রাস্তায় মাটি ফেলা হয়েছে। তখনতো কেউ বাধা দেয়নি। আমি রাস্তাটি এমনভাবেই করবো যাতে কারো ফসলী জমির কোন ক্ষতি না হয়। প্রত্যেক জমির মালিকদের ডেকে বলেছি, আপনারা পাইপ নিয়ে আসেন। আমি রাস্তা নির্মাণের সময় জমিতে পানি যাওয়ার জন্য পাইপ দিয়ে দেই। আর রাস্তা নির্মাণ হলেতো সকলেরই সুবিধা।
এ ব্যাপারে শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য আমি এমপির বরাদ্দের এই রাস্তাটি নির্মাণ করছি। এ রাস্তা দিয়ে সেলামতি ও মত্তগ্রামের শত শত লোকজন আড়িয়ল বিলে ও শ্রীনগরে যাতায়াত করে। রাস্তা নির্মাণে তারাই বাধা দিচ্ছে। গত কমিটিতে যারা ছিলে এইবার তারা নেই।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনভাবেই কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না। আমি এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।