নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন- বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসসহ আমাদের যাপিত জীবনের সকল ধরনের সমস্যা ও সঙ্কট জয়ে সচেতনতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে একটি মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় শতভাগ সামাজিক সচেতনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে অসহায় ও সমস্যাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। গত শুক্রবার মিরকাদিম পৌরসভা এবং রামপাল ও মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালাম, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহসীনা হক কল্পনা, আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুনসুর আহমেদ কালাম, মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অহিদুজ্জামান বাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস প্রমুখ। অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিশে^র দেশে দেশে এক মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের জীবন। সেই সাথে বৈশি^ক উষ্ণতা তথা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকের শিকার হচ্ছে মানুষ। দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন মরণঘাতি ব্যাধি। এইসব মানবিক সঙ্কট মোকাবিলায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের যাপিত জীবনের সকল ধরনের সমস্যা ও সঙ্কট জয়ে সচেতনতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে একটি মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। প্রাণঘাতি করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় শতভাগ সামাজিক সচেতনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে অসহায় ও সমস্যাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার ভিশনারী নেতৃত্বে বৈশি^ক মহামারিজনিত সৃষ্ট মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ তাঁর কাক্সিক্ষত উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার গতিধারা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই সঙ্কটময় সময়েও বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয়ে এখন আমরা প্রতিবেশি দেশ ভারতকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়ে গেছে বহুগুণ। শ্রীলঙ্কাকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই প্রথম অন্য কোন দেশে ঋণ প্রদানের অনন্য উচ্চতা স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ নিয়ন্ত্রণ এবং এই মানবিক সঙ্কটের মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা রক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব আজ বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিল বলেই করোনা ভাইরাসের দীর্ঘ অভিঘাতে দেশের কাউকে না খেয়ে মরতে হয়নি। অথচ এক দশক আগেও এদেশ ছিল খাদ্যঘাটতির দেশ। তখন প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্যের অভাবে এবং অপুষ্টিজনিত নানা রোগের আক্রান্ত হয়ে মানুষকে মরতে হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তাই দীর্ঘ লকডাউন এবং অসচল অবস্থায়ও মারাত্মক বিপর্যয় রোধ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী সমৃদ্ধশালী কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনারা অতীতের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখুন। বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত অগ্রগতি ও উন্নয়নের গতিশীলতাকে বেগবান করুন।