নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলা ৯০১ সন থেকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগরে কালীপূজা উদযাপিত হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা শেখরনগর ঋষি সমিতির উদ্যোগে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়। ইছামতি নদীর তীরে ৫শত ২৮তম কালীপূজা উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। কালীমন্দির প্রাঙ্গণে পূজা শুরু হয়েছে। বিকালে মন্দিরে প্রবেশে মানুষের গাদাগাদি সৃষ্টি হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। আজ বুধবার ভোররাত ৪টা থেকে পাঠা বলি দেওয়া হবে। এবার ৪ হাজারের বেশি পাঠা বলি দেওয়া হবে।
এখানে দেশ বিদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেলা বসেছে। মাঠ নদীর পাড়সহ কোথাও কোন ফাঁকা নেই। উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সেখানে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও সেখানে সমাগম ঘটেছে নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে এসেছেন এখানে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকে এ পূজায় সাধু-সন্যাসীদের সমাগম ঘটে থাকে প্রতিবছর।
পূজা উপলক্ষে মেলায় নাগরদোলা, হর্স রেস ও রেলওয়ে ভ্রমণসহ নানা প্রকার আনন্দদায়ক রাইডস রয়েছে। চানাচুর, মুরলি, চিড়া, মুড়ি, সন্দেশ, দই, মিষ্টি, খইসহ নানা প্রকার মুখরোচক খাবার মেলায় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। এছাড়া গৃহস্থালী কাজের জন্য দা, কুড়াল, বটি, কাচি, কোদালসহ বাঁশ, বেত ও কাঠের তৈরী নানা আসবাবপত্র, কুটির শিল্পের নানা পণ্য সামগ্রী মেলার স্টলগুলোতে দেখা যায়।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, কালীপূজায় সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ২৪২ জন পুলিশসহ প্রায় ৪০০ কর্মী নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
শেখরনগর কালীমন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রতন চন্দ্র দাস জানান, কালীপূজা ও মেলায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। বুধবার ভোর ৫টা থেকে কালী মন্দিরে পাঠা বলি শুরু হবে। ৫২৮ বছর যাবৎ পূজা ও মেলা এখানে হয়। আমাদের পূর্বপুরুষরা করে আসছে। আমরা এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি।
সিরাজদিখানের শেখরনগরে কালীপূজা উপলক্ষে লাখো মানুষের ঢল
আগের পোস্ট