নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মাহমুদা বেগম নামে এক নারীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে আলমগীর, হাফেজ ও সুলতান নামে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই নারী তার জমি বুঝে পেতে ঘুরছেন বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে। তারপরও কোনো সুরাহা না পেয়ে আলমগীরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের কাকালদী গ্রামের নিঃসন্তান অসহায় বৃদ্ধা মাহমুদা বেগমের প্রায় ৫০ লাখ টাকার সম্পত্তি বেদখল করে নিয়েছে আলমগীর, হাফেজ, সুলতান ও মর্জিনা বেগম নামে কয়েকজন প্রভাবশালী। প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ আত্মসাৎ করায় ওই বৃদ্ধা এখন অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে তাকে বসতভিটা থেকেও উচ্ছেদ করতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালীরা।
জানা যায়, গত ২৭ বছর পূর্বে বিল্লাল শেখের কাছ থেকে মালপদিয়া মৌজার ১১ শতাংশ জমি সাবকবলা রেজিস্ট্রি করে নামজারি করেন এবং দুই দাগে দখল দেখিয়ে জমি ভোগদখল করতে বললে কথা মোতাবেক ভোগ দখল করে চলেছে। ভোগদখল থাকা অবস্থায় প্রভাবশালী আলমগীর, হাফেজ, সুলতান, সায়েদ, রাকিব গং ও মর্জিনা জমিসহ বেদখল করে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করে আসছেন তিনি। বৃদ্ধার সব সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বেদখলের প্রতিবাদ করায় নানাভাবে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। পরে খবর শুনে ওই নারী বাঁধা দিলে তাকে মারধর ও খুন জখমের হুমকি দেন। স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার চেষ্টা করে কোনো ফল না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন।
মাহমুদা বেগম জানান, আমি অনেক কষ্ট করে টাকা জমা করে ওই জমিটুকু ক্রয় করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ঢালী আম্বারস রিসোর্টের পাশ থেকে। এ জমির দাম অনেকটা কম। তারপরও আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখন ফের আমাদের জমির ধান কেটে নিয়ে জমিতে ডাটা সবজি বুনে জমি দখল করেছে। আমি আমার জমি ফেরত চাই।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, প্রভাবশালী আলমগীর ও তার বাহিনীর অব্যাহত হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ অবস্থায় অসহায় বৃদ্ধা মাহমুদা বেগম সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ যুগে কেউ কারো জমি দখল করতে পারে না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কারও জমি দখল করিনি।
মধ্যপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সামাজিকভাবে আলোচনা করে মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।
সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মুক্তার হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।