নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কাঠ ব্যবসায়ীর ট্রাক দিয়ে কাঠ উঠানামা করে কোটি টাকার ব্রীজ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আইয়ুব হোসেন রতনের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত শেখরনগর-ঘনশ্যামপুর ব্রীজটির দক্ষিণ-পশ্চিম ঢালে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে ব্রীজটিতে চলাচল ক্রমাগত ঝুঁকির দিকে। রতনের ব্রীজের ঢাল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে কাঠ কাটার স’ মিল। স’ মিলে অসংখ্য ট্রাকে করে ১০ বা ১৫ টনের অধিক কাঠ গাছ এখানে চিরাই করতে আনা হয়। এত পরিমাণ গাছ এ ঢাল দিয়ে নামাতে গিয়ে ইতোমধ্যে ঢালের একটি অংশ ভেঙে পড়ে যেতে দেখা গেছে। যদিও স’ মিল মালিকের পক্ষ হতে পুনরায় ঢালাই করে কাঠ নামানোর কাজ চলমান রাখা হয়েছে। গাছ নামাতে গিয়ে ব্রীজের নিরাপত্তার জন্য প্রদেয় খুঁটিগুলো ভেঙে পড়ায় যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। উত্তর পাশে সকল খুঁটি বিদ্যমান থাকলেও গাছ নামানোর দরুন দক্ষিণ পাশের খুঁটিগুলো বিলীন। ব্রীজ নির্মাণের সময় কৌশলগতভাবে স’ মিল অংশের জায়গা ছেড়ে দিতে গিয়ে ব্রীজ তার নিজের গতি হারায়। অধিক ওজনের গাড়ি ওঠা-নামা করায় এমনিতেই ঝুঁকি রয়ে গেছে। উক্ত কাঠ ব্যবসায়ী শেখরনগর দক্ষিণ হাটি নদীর সাথে সংযুক্ত পাকা ঘাটলা ব্যবহার করায় সেখানে জনসাধারণ ঘাটলায় তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম করা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা মিলন বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ কাঠ উঠানো-নামানোর কাজে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেও স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান বা দায়িত্বশীলদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
এ ব্যাপারে স’ মিল মালিক ও শেখরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আইয়ুব হোসেন রতন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উক্ত বিষয়ে চেয়ারম্যান অবগত আছেন। ভেঙে যাওয়া অংশ আমি মেরামত করে দিবো।
এ বিষয়ে শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেব্রবত সরকার টুটুলের নিকট ফোন করলে তিনি বলেন, আমি এখন উপজেলায় আছি। পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছিলাম পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তাকে এ ধরনের কাজ করতে মানা করেছি। সে আবার করেছে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।