নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকা হালনাগাদের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ৩ দফা মারামারির ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করেছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- সিরাজদিখান উপজেলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সেকান্দার আলী (৪২), লতব্দী ইউপি সদস্য শরীফ মাহমুদ (৫০), নয়াগাঁও গ্রামের হালিম মিয়ার ছেলে তাসলিম (২২)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে কর্মকর্তারা আসেন। সেখানে ভোটার তালিকার লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে মাহমুদ ও কামরুল নামে দুই ব্যক্তির মাঝে বাকবিতন্ডা বেঁধে যায়। সেই বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম দফায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাসলিমকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে দুপুর দেড়টার দিকে সেকান্দার আলী ও সদস্য শরীফ মাহমুদকে মারধর করে। এতে সেকান্দার আলীর মাথা ফেটে যায়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাসলিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর চালায়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিন ইসলাম চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। আমাদের যাবতীয় ইনস্ট্রুমেন্ট অক্ষত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ ফজলুল হককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুল হক বলেন, লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা নির্বাচন অফিসার রুটিন মাফিক ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম করছিল। সেখানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে আসা নতুন ভোটারদের মাঝে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।