নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি রোপা আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বেশি দামে বিক্রির আশায় উপজেলা জুড়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের গোবরদী গ্রামের ধানী জমিগুলোতে হাসিমুখে কৃষকদের ধান কাটার দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা তাদের জমির ধান কেটে ধানের আঁটি বেঁধে মাড়াইয়ের জন্য মাথায় করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েছে। জমির কাটা ধান কৃষকেরা বাড়িতে নিচ্ছেন আর বাড়ির গৃহিণীরা সেই ধান মাড়াইয়ের পর রোদে শুকানোর কাজ করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের বাড়িতে বাড়িতে উৎসবের আমেজ বইছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৬৮০ হেক্টর বেশি জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, চালের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সে অনুযায়ী ধানের দাম যদি ভালো পাই, তবে আসছে মৌসুমে ধানের চাষ আরো করবো। তা না হলে লোকসানের মুখে পড়বো। তাই সরকারের উচিত কৃষক যেন ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, উপজেলা জুড়ে রোপা আমন ধান কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। এতে কৃষকেরা এখন তাদের নিজ নিজ জমি থেকে ধান কেটে বাড়ি নিচ্ছেন। তবে বোনা আমনের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে অনেক জমিতেই পানি ছিল না, তাই ফলন কম হয়েছে। তবে রোপা আমনের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে কৃষকেরা ধান পাবে সাড়ে ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন।
সিরাজদিখানে রোপা আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
আগের পোস্ট