নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কেউ ব্যাঘাত সৃষ্টি করলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া সিরাজদিখানের গাঙ্গুলী বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামীরাও দ্রুত গ্রেফতার হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম জেলা পূজা উদযাপন কমিটি ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য জোটের নেতাদের সাথে এক বৈঠকে একথা বলেছেন। এসময় তিনি আরো বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে করোনার মহামারিতেও পুলিশ সদস্যরা নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সিরাজদিখানের কোলা ইউনিয়নের গৌরীপুরা গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গাঙ্গুলী বাড়ী জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের প্রচেষ্টা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এসময় বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী বাবু সুদর্শন গাঙ্গুলী। তিনি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার ও অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিকতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় জালিয়াতির মাধ্যমে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য জোটের সভাপতি এড. অজয় চক্রবর্তী, অভিজিত দাস ববি, বলরাম বাহাদুর, সুবীর চক্রবর্তী, সমর দাস, বিমল চন্দ্র প্রমুখ। এদিকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গাঙ্গুলী বাড়ী রক্ষা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ রগকাটা সিদ্দিক বাহিনীর প্রধান সিদ্দিক মোল্লাসহ এই বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি করে আসছেন। এই বাহিনীর দুই সদস্য বিদ্যুৎ মোল্লা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হয়েছে গত বুধবার।
সুদর্শন গাঙ্গুলীর জমি ফিরে পেতে পুলিশ সুপারের সাথে সংখ্যালঘু নেতাদের বৈঠক
আগের পোস্ট