নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক অপশক্তি বিএনপিই এ দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, স্বৈরাচারের উত্তরসূরি বিএনপি-জামাত অপশক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মাঈনুল ইসলাম নিখিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের আরেকটি কালো দিন। তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নামে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শুরু হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ৭ নভেম্বর ও তার পরেরদিন ৮ নভেম্বর রাতে ক্যান্টনমেন্টে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ও গণবাহিনীর জোয়ানরা সেনাবাহিনীর অফিসারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালায়। তারা সেনা অফিসার, তাদের স্ত্রী ও পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করে। ১৫ই আগস্টের কালো রাতে ইতিহাসের নির্মম হত্যাকান্ড, ৩রা নভেম্বরের জেল হত্যাকান্ড ও ৭ নভেম্বরের মুক্তিযোদ্ধা হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। স্বাধীনতাবিরোধী মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এসব হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছিল।
তিনি বলেন, জিয়ার নামে তার দল বিএনপি অনেক কথা বলে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে জিয়াউর রহমান এমন একজন মানুষ, যে সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে অস্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছেন। এই অবৈধ ক্ষমতাদখলদার খুনি জিয়া বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন ও হ্যাঁ/না ভোটের প্রহসনের নির্বাচন করেছেন; ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বঙ্গবন্ধুর সময়কার আওয়ামী লীগের ১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে কারাগারে রেখে নির্বাচন আয়োজন করেছিল; বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন। সামরিক আদালতে তথাকথিত বিচারের নামে অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে ঢাকা মহানগরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বিএনপি। ওরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ করেছে, জাজেস কমপ্লেক্সে আক্রমণ করেছে, মানবতার চরম লঙ্ঘন করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে আক্রমণ করেছে, এ্যাম্বুলেন্স জ¦ালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মম-নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এই খুনের রাজনীতি জিয়ার দল বিএনপি শুরু থেকেই করে আসছে।