নিজস্ব প্রতিবেদক
দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ ৩১ মে (রোববার) সকাল থেকে গণপরিবহন চালু হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠাচ্ছেন নামাচ্ছেন বাস শ্রমিকরা। যাত্রীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস এমনকি ব্যক্তিগত সুরক্ষার সামগ্রী (পিপিই) পরিধান করছেন। নিদেনপক্ষে সবার মুখে মাস্ক রয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কাঁটাবন, শাহবাগ, বাংলামোটর ও মৎস্য ভবন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে খুবই সীমিত সংখ্যক ছোট-বড় বাস চলাচল করছে। বেসরকারি মালিকানার বাসের চেয়ে সরকারি বিআরটিসি’র সংখ্যা ছিল বেশি। রাস্তা ফাঁকা থাকায় বাসগুলোকে দ্রুতবেগে ছুটে চলতে দেখা যায়।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, শাহবাগ বাস স্ট্যান্ডের সামনে অনেকেই গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও সবার মধ্যেই করোনাভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যায়। অন্যান্য সময় গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়ালেও আজ সকলকেই একে অপর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে দেখা যায়।
লালবাগের বাসিন্দা সোলাইমান হোসেন মহাখালীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকে। আজ দুই মাস পর অফিসে যাচ্ছেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরিধান করলেও অজানা এক আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে।
গণপরিবহনের সংখ্যা কম হলেও অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ রাজপথে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ও প্যাডেল চালিত রিক্সার সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।
দুই মাস পর ঘুরলো গণপরিবহনের চাকা
আগের পোস্ট