নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার (ওসি) মোঃ মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল বারেক। যাহার পিটিশন মামলা নং-০১/২০২৪। আব্দুল বারেক সিরাজদিখান উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আদালতের বেঞ্চ সহকারি মোঃ হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাইপূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোঃ জামাল হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। গত ২৪ এপ্রিল ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামী দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওইদিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হলে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আইনজীবী জামাল হোসাইন আরো বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল বারেক বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
প্রসঙ্গত, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থক এবং পরাজিত প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীরের সমর্থক গ্রুপের মধ্যে গত ২৩ এপ্রিল বিকেল পাঁচটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের হাতে আটককৃত ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।