নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ২য় স্ত্রীকে মেনে নিতে ১ম স্ত্রীকে মারধর করলো স্বামী আশকর আলী। এ বিষয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজদিখান উপজেলার চর বয়রাগাদি এলাকায়। মারধরের ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্ত্রী লিপি আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় আশকর আলীর (৪২) ১ম স্ত্রীর সম্মতি ছাড়াই ২য় স্ত্রী হিসাবে এক নারীকে বাসায় নিয়ে আসেন। এসময় স্বামীর সাথে সিরাজদিখান উপজেলার চর বয়রাগাদি গ্রামের বাদশা মেম্বার (৫০), আমেনা বেগম, বরকত আলী (৫০), আলম মিয়া (৪৫), আরিফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ২য় স্ত্রী হিসাবে যাকে বাসায় নিয়ে আসেন তার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমার স্বামী আশকর আলী ও তার সহযোগীরা আমাকে এলোপাথারী মারধর করে। এসময় আমার মেয়ে নাজমুন নাহার (১২) ও আরেক মেয়ে সাবিকুন নাহার (৫)কেও মারধর করে খুন জখমের হুমকি দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমার মামাতো ভাই আরাফাত আমার স্বামীর বাড়িতে আসলে আমার স্বামী আশকর ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আমাদের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। স্থানীয় মেম্বার বাদশা আমার স্বামীর আশকর আলীর সম্পর্কে মামা হন। তার প্রশ্রয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার ছেলে জুনায়েত (২০) কুয়েত প্রবাসী। বিদেশ থেকে সম্প্রতি ৩ লাখ টাকা ও ৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার পাঠায় যা আমার স্বামীর হেফাজতে রয়েছে। এছাড়াও মূল্যবান কাগজপত্র রয়েছে। এগুলো লুকিয়ে অনত্রে সরিয়ে ফেলেছে। ঘটনার দিন আমাকে মারধর করলে আমি ৯৯৯-এ ফোন দিলে সিরাজদিখান থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়। আমি চলে আসলে বাড়ি থেকে কোন কিছুই নিয়ে আসতে পারি নাই।
২০ বছর আগে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক আশকর আলীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লিপি আক্তার। এ বিষয়ে লিপি আক্তার বলেন, আমাকে প্রতিনিয়ত স্থানীয় মেম্বার বাদশা ও আশকর আলী মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমাকে না জানিয়ে বা আমাকে তালাক না দিয়েই আমার স্বামী ২য় বিয়ে করে। আমি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আমার ও আমার সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।