শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ১০টি ফেরি ৮৭টি লঞ্চ ও ৩ শতাধিক স্পীডবোট চলাচল করছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে দক্ষিণ বঙ্গগামী ২১ জেলার ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয়ে বিকালে এ ঘাটে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পায়। এতে সামাল দিতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে তারা জানিয়েছেন, আগের ঈদের সময়ের তুলনায় চাপ কিছুটা কম আছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ৩টি ফেরি ঘাট দিয়ে ১৬টি ফেরির মধ্যে ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ৩নং রো রো ফেরি ঘাটটি গত ৩ দিন আগে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। প্রবল স্রোতের কারণে দূর্ঘটনা এড়াতে ডাম্প বা ঠেলা ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল বিকালে কয়েক হাজার মোটরবাইক কার আগে কে উঠবে ফেরিতে এমন প্রতিযোগিতা ঘাট এলাকায় দেখা গেছে। ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করলেও দুপুরের পর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ কম থাকায় যাত্রীদের সামাল দিতে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও আনসারদের হিমশিম খেতে হয়। এ সুযোগে লঞ্চ স্টাফরা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে প্রবল স্র্রোতে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। সরকারের দেয়া নিয়ম ভঙ্গ করে যেভাবে চলছে লঞ্চ, তেমনি স্পীডবোটগুলোতে নিয়ম মানছে না। অতিরিক্তি যাত্রী নিয়ে তারা ছুটছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। মাওয়া বিআইডব্লিউটিএ সহকারি পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, সকাল থেকে যে লঞ্চগুলো কাঁঠালবাড়ি গিয়েছে স্রোতের কারণে যাতায়াতে সময় বেশি লাগছে। শিমুলিয়া ঘাটে দুপুর থেকে লঞ্চ কম আছে তাই বিকালে আরো চাপ বেড়েছে। লঞ্চ ফিরে আসার সাথে সাথে লোড হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মত চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে যাত্রী নিরাপদে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে। মাস্ক ছাড়া কাউকে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। আনসার ও পুলিশ আমাদের সাথে সহায়তায় রয়েছে। শিমুলিয়া স্পীডবোট ইজারাদার এর ম্যানেজার স্বাধীন আহমেদ জানান, আমরা ১৫০ টাকা আগের ভাড়াই নিচ্ছি। ২২ সিটের বোটে ১৭ জন, ২৬ সিটের বোটে ১৯ জন, এভাবে পার করা হচ্ছে। শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসি সহ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, স্রোতের কারণে ১৬টি ফেরির মধ্যে ১০টি চালু রাখা হয়েছে। ৩নং ফেরি ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। মোটরবাইক ও ছোট গাড়ির চাপ বেশি আছে। মাওয়া ট্রাফিক ইনচার্জ পরিদর্শক মো. হিলাল উদ্দিন জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) গাড়ি ও যাত্রীচাপ বেড়েছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিক খেয়াল রেখেই বিভিন্ন দপ্তর কাজ করছে। ঈদে এখন আর কোন ভিআইপি নেই, সবাই সমান।