নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে অসময়ের টানা বৃষ্টির কারণে আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে হতাশ আলুচাষীরা। অনেককে জমির পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। গতবছর আলুতে কিছুটা লাভবান হলেও বিগত কয়েক বছর যাবৎ আলু চাষ করে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকেরা। বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও দাম না পেয়ে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তারা। এ বছরও গত দু’দিনের অতি বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে রোপণকৃত বহু আলুর জমির পাশাপাশি করলা, ধুন্দল, বরবটি, চিচিঙ্গাসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রান্তিক কৃষকেরা জানান, গত মৌসুমে আলুর ভালো ফলন ও বাজারমূল্যে লাভবান হওয়ায় এবার চড়া মূল্যে জমি ঠিকা ও বর্গা নিয়ে লাভের আশায় বেশ উদ্দীপনা ও উৎসাহ নিয়ে আলু রোপণ করেছে। টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তাদের স্বপ্ন মাটিতে মিশে গেছে। ২ দিনের বৃষ্টিতে ফসলি মাঠে বিশেষ করে আলুর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া নদী থেকে বিলের পানি প্রবাহের খালগুলো দখল ও ভরাট হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা কোথাও ড্রেন কেটে জমির পানি অপসারণ করছেন, আবার কোথাও বালতির সাহায্যে পানি সেচ করছেন। এ চিত্র ছিল উপজেলার সর্বত্র।
বনসেমন্ত গ্রামের কৃষক লতিফ শেখ বলেন, গত মাসে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি যাওয়ার পরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ইতিমধ্যে ৫ কানি জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি জমিতে সার ছিটিয়ে জমি প্রস্তুত করে রেখেছি। লাভের আশায় এবার বেশি দামে জমি ঠিকা নিয়েছি। বীজ আলুও বেশি দামে ক্রয় করেছি। কিন্তু বৃষ্টি আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনলো।
কৃষকদের আরো অভিযোগ, প্রতিবছর আলুতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিঃস্ব হলেও সরকার এগিয়ে আসছে না। কিন্তু বেশি দামে আলু বিক্রি করলে মোবাইল কোর্ট করে ঠিকই। তারা আরো বলেন, এবার বীজ আলু ৩ হাজার ১শত টাকা বস্তা দরে ক্রয় করছি। কিন্তু টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ১ দিনে বীজ আলুর দাম বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। সেদিকে যাতে একটু নজর দেয়।