নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামীকাল সোমবার ১লা সেপ্টেম্বর থেকে মুন্সীগঞ্জ সড়কের উপরে থাকা বর্তমানের মাছ ও কাঁচাবাজার আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেই হিসেবে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি সূত্রে জানা গেছে। করোনার প্রাদুর্ভাবকে সামনে রেখে চলতি অর্থ বছরের ২০ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ শহরের বড় বাজারের মাছ ও কাঁচাবাজারটি স্থানান্তরিত করা হয়। মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট এলাকায় ওয়ানওয়ে রাস্তার পূর্ব পাশে কাঁচাবাজারটি বসানো হয়। আর পশ্চিম পাশে মাছেরবাজারটি বসানো হয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে সুপার মার্কেট থেকে কৃষি ব্যাংক পর্যন্ত দুটি বাজারের পরিধি বৃদ্ধি পায়। প্রায় সাড়ে চার মাসের মতো এ বাজার এখানে চলার পর আগামীকাল সোমবার বাজার দুটির পসরা পূর্বের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে। অনেকের সূত্র মতে, প্রধান বাজারের মহলদাররা বিপুল অর্থ দিয়ে বাজারের ডাক নিলেও বাজারটি স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে। এছাড়া স্থানান্তরিত বাজারে আগের মতো বেচাকেনা না হওয়ায় অনেকেই ক্ষতির মুখোমুখিতে রয়েছে। মাছ ও কাঁচাবাজার স্থানান্তরিত হওয়ায় বড় বাজারের মুদিসহ অন্যান্য দোকানদারদের বেচাকেনা আগের মতো হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে বড় বাজারের দোকানদাররা লোকসানের মধ্যে পড়েছে। বড় বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান লিন্টু জানান, বড় বাজারে মাছ ও কাঁচাবাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান পাতা রয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমানে এখানে পুনরায় মাছ ও কাঁচাবাজার বসানো হলে তেমনটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাজারে আগত ক্রেতারা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করে তবে এখান থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি আরো বলেন, দেশে যখন একযোগে করোনা দেখা দিলো তখন এ বাজারটির আংশিক অংশ পশ্চিম পাশের রাস্তায় প্রথমে বসানো হয়। কিন্তু বাজারে প্রতিদিনই মাত্রার বাইরে ক্রেতাদের ভিড় থাকায় পরে বাজারটি সুপার মার্কেটে স্থানান্তরিত করা হয়। সেইসময় এ শহরের মানুষের ধারণা ছিলো যে, করোনাকালীন সময়ে এখানে সব কিছুরই সংকট দেখা দিবে। এ কারণে এ বাজারে সেইসময় এতো ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাজার করা ও পরে এক দুই দিন বন্ধ রাখার পর আবারো বাজার খোলার কারণেও এখানে এতো ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এখন আর সেই পরিবেশ নেই। তাছাড়া এখানকার বাজার ছাড়া এ জেলায় আর কোথাও বাজার স্থানান্তরিত হয়নি। তবে কেন আমাদের বাজারটি সেখানে আর থাকবে। তাই আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে ও মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়রের কাছে অনুরোধ জানালে তাদের সিদ্ধান্তেই আমরা এখানে বাজার ফিরিয়ে আনছি। সেখানকার বাজারে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে ছাবড়ার মধ্যে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে হচ্ছে। দীর্ঘ মাস সেখানে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করার কারণে অনেকেই ইতোমধ্যে জ্বর ও ঠান্ডা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।