নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ঝটিকা অভিযানে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সত্যতা মেলায় আলাদা তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন দায়ে ভিন্ন অংকের অর্থদন্ড করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ নির্বাহী বিচারক এর দায়িত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালিত হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা স্যানিটেশন ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ফারহানা খান, গজারিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সবুজ উর রহমান। পরিচালিত অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ মজুদ ও প্রদর্শন রাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারা মতে উপজেলার দড়ি বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ডে মা ফার্মেসীকে তিন হাজার ও পাঠান ফার্মেসীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নতুন চরচাষীতে অবস্থিত ইসলাম ব্রাদার্স এন্ড এগ্রো লি. বেকারী খাবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ৬টি পণ্যে বিএসটিআই ও ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক হালাল খাদ্য ছাড়পত্র নেই। ছাড়পত্র ব্যতীত প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগো নকল করে ভূয়া মিথ্যা লোগো ব্যবহার ও বিপণনের দায়ে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় কোম্পানীটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। ইসলাম ব্রাদার্স এন্ড এগ্রো লি. কোম্পানীটির উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে ৬টি আইটেমে সত্যতা পাওয়া যায় লোগো জালিয়াতির। সরেজমিনে দেখা যায়, কোম্পানিটির উৎপাদিত দুই পদের সেমাই, অরেঞ্জ ও লিচু ড্রিঙ্কস, মুড়ি ও কয়েক পদের কেক এর মোড়কে বিএসটিআই ও হালাল লোগো অনুমোদনহীনভাবে ব্যবহার করে ভোক্তাদের প্রতারিত করছিলো। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
গজারিয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালিত
আগের পোস্ট