নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের আশ্রাব্দী মৌজায় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত হোসেন্দী গ্রামটি নদী ভাঙ্গনের কবলে। এতে প্রায় ২ শত পরিবারের বসতভিটা বিলীনের পথে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হোসেন্দী গ্রাম নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত। গ্রামবাসীর চাষাবাদযোগ্য জমি গত তিন থেকে চার বছর যাবৎ ক্রমশ নদী ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হয়ে গেছে। হোসেন্দী গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়ী হতে শহীদুল্লাহর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২ শত থেকে আড়াইশত পরিবারের বসতভিটা নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে। অধিকাংশ অসহায় ও দুস্থ পরিবার যারা প্রতিনিয়ত বাসস্থান ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার আশঙ্কায় দিন যাপন করছেন। ইতিমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত হোসেন্দী গ্রামের আমিনুল হক, আব্দুল করিম, জামাল উদ্দিন, রীনা বেগম, শাহ আলম, খালেদসহ অনেকেই জানান, পূর্বে গ্রামের বাড়িগুলোর পাশে চাষাবাদযোগ্য জমি ছিল। তারপরে ছিল নদী। ওই নদীতে এক সময় পায়ে হেঁটে গিয়ে গোসল করতো। গত কয়েক বছরে চাষাবাদযোগ্য সেই জমি ভেঙ্গে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বসতভিটা এখন ক্রমশ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। সেই সাথে পাশের কোম্পানীর বালু ভরাট করার পর নদীর স্রোত ক্রমান্বয়ে আরো সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। গ্রামবাসীর দাবি, সরকারি সহযোগিতায় এই বর্ষার আগেই নদী খননের মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা। হোসেন্দী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন জানান, জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন এলাকার উন্নয়নে ও তাদের সেবা নিশ্চিত করতে। দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে প্রথম কাজ হবে হোসেন্দী গ্রাম ভাঙ্গন প্রতিরোধে সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারি ও ব্যক্তিগত সহযোগিতার সমন্বয়ে স্থায়ী সমাধান করা। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারব মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী মোবাইলে জানান, উপজেলাধীন হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিরচরসহ একাধিক নদী ভাঙ্গন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদেরকে অবগত করেছি। হোসেন্দী এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।