নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ও ভাগ্যকুল দুই ইউনিয়নের সীমানাবর্তী বালাশুর চৌরাস্তা সংলগ্ন প্রায় ৫০০ ফুট বেহাল রাস্তায় মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। বছরের প্রায় ১২ মাসই সড়কের এই স্থানে পানি জমে থাকার কারণে পিচ উঠে সড়কটি কাঁচায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত ইট বোঝাই নিষিদ্ধ ট্রলির ওভারলোডিংয়ে রাস্তাটি আরো বেহাল করা হচ্ছে। এতে রাস্তাজুড়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কের প্রায় ৫০০ ফুট জায়গায় ৬/৭ ইঞ্চি পরিমাণ কাদামাটি জমে থাকতে দেখা গেছে। বেহাল রাস্তায় অত্র এলাকার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বালাশুর চৌরাস্তার সামনে রাস্তা খারাপের কারণে অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল ও ইটবোঝাই ট্রলির চাকা দেবে আটকা পড়েছে। এতে ব্যস্ততম চৌরাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায়, কাদামাটিযুক্ত পিচ্ছিল রাস্তাটি ব্যবহার করে ইটের ট্রলিগুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে বালাশুর বাজারের দিক দিয়ে শ্রীনগর-দোহার সড়কের চৌরাস্তায় উঠার চেষ্টা করছে। দেখা যায়, এসব শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার এদিক সেদিক চলে যাচ্ছে। লক্ষ্য করা যায়, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আন্তঃসড়কে উঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। এতে অন্যান্য যানবাহন কাদামাটি ও জলাবদ্ধ রাস্তায় আটকা পড়ে। এ অবস্থায় পথচারীরা পায়ের জুতা ও পরনের জামাকাপড় নষ্ট হওয়ার ভয়ে দীর্ঘক্ষণ অটোতে বসেই অপেক্ষা করে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী জানান, বালাশুর চৌরাস্তা থেকে নতুন বাজার যেতে সড়কের বালাশুর অংশে পুরাতন ফ্যান কারখানা পর্যন্ত এই জায়গাটুকুতে পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মাছবাজারসহ রাস্তার চারদিকের বৃষ্টির ঢলের পানি এসে এখানে জমা হচ্ছে। জলাবদ্ধ রাস্তার পিচ উঠে কাদামাটি জমে নাজুক হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ভাগ্যকুল ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আইয়ুব খান জানান, এখানে রাস্তাটি নিচু। রাস্তার দুইপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই উঁচু থাকার ফলে ঢলের পানি সড়কে জমা হচ্ছে। এছাড়াও ট্রলির ওভারলোডিংয়ে রাস্তাটি দিনদিন বেহাল হচ্ছে। রাস্তার পশ্চিম পাশে ভাগ্যকুল ও পূর্বপাশে রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের অবস্থান। রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিকুল মোল্লা এ ব্যাপারে জানান, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তার এই অংশটি দুই ইউনিয়নের সীমানা। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তার সংস্কার কাজের জন্য আলোচনা করা হচ্ছে।
শ্রীনগরে ৫০০ ফুট রাস্তায় চরম ভোগান্তি
আগের পোস্ট