নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোটার তালিকা হালনাগাদে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে তিন দফা সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে দুই মামলার ২৪ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে একটি মামলার প্রধান আসামী ২০২২ সালের স্থানীয় সরকার ইউপি নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির। অপর একটি মামলায় মোহাম্মদ মালেকের ছেলে কামরুজ্জামানকে প্রধান আসামি করা হয়।
এর আগে, গেলো সোমবার উপজেলার লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে সকালে কর্মকর্তারা আসেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ছবি তোলা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার সময় লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে মাহমুদ হাসান ও কামরুল নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে একজন ইউপি সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে একটি পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর চালায়।
এ বিষয়ে লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মো. ফজলুল হক বলেন, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে জহির। সে গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার লোকজন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। আমি এলাকার মানুষের মাধ্যমে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়টি জানতে পারি। সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় লোকজন ইউপি কার্যালয় ভাঙচুর করল। অথচ পূর্বশত্রুতার জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যান তার লোক দিয়ে আমাকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করেছে। মূলত তিন দফা সংঘর্ষের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা সবাই ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। আমাদের যাবতীয় ইনস্ট্রুমেন্ট অক্ষত রয়েছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, দুটি ছেলের হাতাহাতির ঘটনা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নটির পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। গতকাল দুটি মামলা হয়েছে।