নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের টরকী গ্রামের অসহায় এক নারীর নাম আমেনা আক্তার। এলাকার প্রভাবশালী ও একাধিক মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে জীবন শঙ্কায় এখন আমেনা বেগম। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা, গুলি, ককটেল, টাকা ছিনতাই, লুট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের মামলা করে আমেনা আক্তার ও তার পরিবার এখন বিপাকে। প্রাণনাশের হুমকিতে সদর থানায় একাধিক জিডিও করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজনের নামে।
আমেনা বেগম জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি দুই দফায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে টরকী গ্রামের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা গং তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে। পরে বাধ্য হয়ে ইতালি প্রবাসী আল-আমিনের স্ত্রী আমেনা আক্তার বাদী হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর মামলা (মামলা নং-৫৬/২০২২) করেন। আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করার জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩৮০/৪২৭/৩০৭/৫০৬ (২), ১১৪/৩৪ দন্ডবিধি তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়। মামলা নং-১৪। এই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফযসাল মৃধা, চরকেওয়ার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মহিউদ্দিন মৃধা, ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য রাজিয়া বেগমসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর গত ২৮ এপ্রিল মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই আমিনুল হাসান চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনের এক অংশে আমিনুল হাসান বলেন, তদন্তকালে বিস্ফোরক উপাদানাবলীর অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেলেও কে বা কাহারা ঘটাইয়াছে তদন্তকালে সত্যতা প্রমাণে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধা জানান, মামলা মিথ্যা বলে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। আমেনা আক্তারের মাথায় সমস্যা আছে। মামলাবাজ মহিলা হিসেবে পরিচিত বলে ফয়সাল মৃধা জানায়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা
আগের পোস্ট