নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদি গ্রামের পোলট্রি খামারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তীব্র দুর্গন্ধে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে আবু জাফর বেপারী মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইছাপুরা ইউনিয়নের শিয়ালদী গ্রামের রিপন চাকলাদার দীর্ঘদিন যাবৎ মুরগীর খামার ও খামারের মল-মূত্র দ্বারা এলাকার পরিবেশ দূষণ করছে। মুরগির বিষ্ঠার গন্ধে পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের বসতবাড়িতে বসবাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এমনকি এভাবে পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের এবং আমাদের আশেপাশের লোকজনের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না। ঘরের ভিতরেও দুর্গন্ধের কারণে ঘুম আসা যায় না, ভাত খাওয়া যায় না। খাবারের দুর্গন্ধের বিষয়ে রিপন চাকলাদারকে বলতে গেলে সে মারধর করতে আসে এবং নানা রকম হুমকি ধমকি দেয়।
শিয়ালদি গ্রামবাসী বলেন, বিষ্ঠার দুর্গন্ধে থাকা যায় না। রোদ উঠলে বাতাসে গন্ধ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। গন্ধের তীব্রতা যখন বাড়ে তখন বমি চলে আসে। তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা যায় না।
কল্পনা আক্তার বলেন, গন্ধে রাতে ঘুমাতেও কষ্ট হয়।
সিরাজদিখান উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শাহআলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে রিপন চাকলাদারের বাড়িতে গিয়ে দুর্গন্ধ বন্ধ করতে বলে এসেছি।
ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে খামারি রিপন চাকলাদারের বাড়িতে গিয়ে দুইটি মুরগির শেড দেখতে পাই। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলে এসেছি।
অভিযুক্ত খামারি রিপন চাকলাদার বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকেই মুরগির খামারের ব্যবসা করছি। আবু জাফর সাহেব তো বাড়িতে থাকেন না, তিনি উপরে বসে থাকেন। তার মা মাঝেমধ্যে বাড়িতে থাকেন। আর খামার থেকে তো তেমন বেশি গন্ধ ছড়ায় না। আমি মুরগির মল-মূত্র দূরে নিয়ে ফেলি।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।