নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে তেতৈতলা হাঁসপয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তায় নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার কাজ করালেন ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ রিটু প্রধান।
জানা যায়, মেঘনা ২য় ব্রীজ নির্মাণ কাজে বিদেশীদের নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ জামালদী বাসস্ট্যান্ড হতে তেতৈতলা মেঘনা ঘাট বাজারের সড়কটি বন্ধ ছিল। মাঝখানে কিছুদিন স্থানীয় জনসাধারণ প্রজেক্টের টিনের বাউন্ডারি ওয়াল খুলে রাস্তা উন্মুক্ত করেছিল। গত এক বছর যাবৎ সেই পথেই যাতায়াত করছিল স্থানীয় গ্রামবাসী। কিন্তু ২য় মেঘনা ব্রীজ এরিয়াকে সরকার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) হিসেবে ঘোষণা করে। যার ফলে জামালদী টু মেঘনা ঘাট বাজার সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ইটের ওয়াল করে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় সরকার। গত কয়েকমাস যাবৎ স্থানীয় গ্রামবাসী জামালদী বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য দেড় কিলোমিটার ঘুরে হাঁসপয়েন্ট দিয়ে যাতায়াত করছিল। মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় মহাসড়ক দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে তেতৈতলা, ছোট রায়পাড়া গ্রামের ১০/১২ হাজার মানুষ।
জনগণের দূর্ভোগ লাঘবে স্থানীয়ভাবে এগিয়ে আসলেন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ রিটু প্রধান। তিনি নিজের অর্থায়নে তেতৈতলা হাঁসপয়েন্ট হতে জামালদী বাসস্ট্যান্ডস্থ ওভারব্রীজ পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে পায়ে হাঁটার রাস্তাটির ঝোপঝাড় আর আগাছা কেটে পরিষ্কার ও ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেন।
স্থানীয় গ্রামবাসী এই কাজে খুবই খুশি। তারা জানান, রিকশা, অটোরিকশা দিয়ে যাতায়াত করতে না পেরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়েই এতদিন যাতায়াত করতে হয়েছে। এখন অন্তত নিরাপত্তার সাথে পায়ে হেঁটে জামালদী যাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে বালুয়াকান্দী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মোঃ রিটু প্রধান বলেন, জামালদী বাসস্ট্যান্ড টু তেতৈতলা মেঘনা ঘাট বাজার সড়কটি বন্ধ করে দেওয়ায় তেতৈতলা গ্রামসহ আশেপাশের ১৫ হাজার মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছিল। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে পায়ে হাঁটার এই পথটি সংস্কার করেছি। ইনশাআল্লাহ, মানুষ যাতে অটোরিকশা নিয়ে যাতায়াত করতে পারে সড়কটি সেভাবে পুনঃনির্মাণ করবো।
গজারিয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তার সংস্কার করলেন প্যানেল চেয়ারম্যান রিটু প্রধান
আগের পোস্ট