নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের নগর জোয়ার গ্রামে সংঘর্ষে আহত ১৪ জনের মধ্যে ৩ জন আব্বাস দেওয়ান (৪০), রহিমা বেগম (৭৫), লাকি (৩০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় টঙ্গীবাড়ী ইউনাইটেড ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলেও লকডাউনের কারণে তারা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যেতে পারেনি বলে আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার টঙ্গীবাড়ী থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার হাসাইল চরাঞ্চলের নগরজোয়ার গ্রামে শুক্কুর আলি সর্দার ও আব্বাস দেওয়ান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের ১৪ জন আহত হয়। আহতরা হলেন আব্বাস দেওয়ান (৪০), রহিমা বেগম (৭৫), মহেজ দেওয়ান (৪৫), লাকি (৩০), ছালমা (২২), মহসিন (২৮), মামুন (২০), অপরপক্ষের শুক্কুর আলি (৫৫), মরু (৩৫), জয়নাল পেদা (৪০), বাদশাহ পেদা (৩৩), গোলাম আজম (২২) ও মাসুম (২৩)। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকালে আব্বাস দেওয়ানের জমজ দুই ছেলে শিপন (১১) ও টিটু (১১) তাদের বাড়ির পাশের জমিতে ঘাস কাটতে গেলে শুক্কুর আলি সর্দার তাদের গালিগালাজ করেন। এ সময় আব্বাস দেওয়ানের বড় ছেলে মামুন প্রতিবাদ করলে তাকেও গালিগালাজ করেন শুক্কুর আলি। ঘটনার এক পর্যায়ে শুক্কুর আলি তার লোকজন নিয়ে আব্বাসের ছেলেদের লাঠিপেটা করে। তাদের চিৎকারে আব্বাসের মা রহিমা বেগম, বড় ভাই মহেজ, বোন লাকি এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে শুক্কুর আলি দেশীয় অস্ত্র শাবল দিয়ে রহিমা বেগম ও লাকি আক্তারকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে আব্বাস দেওয়ান খবর পেয়ে জমি থেকে ফিরে তার মা, বোন ও ছেলেদের আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে শাবাল দিয়ে পিটিয়ে অপরপক্ষের মরু ও শুক্কুর আলিকে জখম করে। পরে এলাকাবাসী উভয়পক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্বাস, আব্বাসের মা রহিমা বেগম ও বোন লাকির অবস্থার অবনতি দেখে তাদেরকে প্রথমে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পরে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে লকডাউনের কারণে স্থানীয় ক্লিনিকে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন পিপিএম জানান, উভয়পক্ষ বুধবার অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলা রেকর্ড ও আসামী গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।