নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের ডিসি মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আড়িয়ল বিলের শ্রীনগর অংশ পরিদর্শনে এসে বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই কৃষকদের ধান ঘরে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষকদের কোনরকম দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আমরা আশা করছি কৃষকরা সুন্দরভাবে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবে। গত সোমবার আনা একটি নতুন কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও একটি রিপার অলরেডি জমিতে ধান কাটছে। এর পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৫০০ জন ধান কাটার শ্রমিক এখানে এসেছে। বাকি শ্রমিকরাও আসবে। বিলের ধান কাটতে এখানকার কৃষকদের স্থানীয় কৃষি অফিস সার্বিক সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করছি। কারণ দূর থেকে যারা আসবেন আমাদের নির্দেশনা রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসবেন। যাদের করোনা উপসর্গ নেই তাদেরকেই এখানে আনা হচ্ছে। তাদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকদের পৃথক পৃথক থাকার নির্দেশনা রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএ) শাহ আলম বলেন, আশা করছি আড়িয়ল বিলে প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে ৬ টন ধান ফলন হবে। আড়িয়ল বিলের শ্রীনগর অংশে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। প্রায় ২০ ভাগ জমির ধান ইতিমধ্যে পেকে গেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মসিউর রহমান মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা বেগম, শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল হক নিশাত শিকদার, শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কাইউম রতন, উপজেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রুনা লায়লা, শ্রীনগর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রাব্বি, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর, স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন বেপারী, শাহাবুদ্দিন বেপারী ও উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ।