নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার কালিন্দীপাড়া জামে মসজিদের পাশেই রয়েছে বড়সড়ো একটি ড্রেন। আর ড্রেনের পাশে রয়েছে মানুষের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা। আর সেখানেই গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। ফেলে রাখা ময়লার ভাগাড় থেকে প্রতিদিনই দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। এই দুর্গন্ধে বর্তমানে অতিষ্ঠ এ এলাকার মানুষেরা। ফলে দুর্গন্ধের দূষণের শিকার হচ্ছেন মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিরাও। তার সাথে আরো শিকার হচ্ছেন রাস্তার পথচারীসহ স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষেরা। এ পথে নাক মুখ বন্ধ করে তবেই চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সাধারণত মসজিদের আশেপাশে ও জনবসতি এলাকায় এ ধরণের ময়লার ভাগাড় থাকার কথা না। কিন্তু এখানে তাই হচ্ছে। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ হচ্ছে, এ বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফায় জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থাই নেননি তারা। ফলে বাধ্য হয়েই পৌরবাসীরা এ বিষয়টি বর্তমানে এখন অনেকটাই মেনে নিয়েছেন। মূলত রিকাবিবাজারের কাঁচামালের সমস্ত ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। অন্যদিকে এখানকার স্থানীয়দের বাসাবাড়ির সকল ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়া মৃত গরু, ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণীদের মৃতদেহও ফেলা হয় এই ভাগাড়ে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ ও টুশব্দ করছে না কেউ। এদিকে দুর্গন্ধ নিষ্কাশন ও ময়লা অন্যত্র ফেলার ব্যবস্থা করা হয়নি কোনদিন। বর্জ্য ফেলার পরিবেশবান্ধব কোন পদ্ধতিও অনুসরণ করা হচ্ছে না এখানে। ময়লার স্তূপ এমন আকার ধারণ করেছে যে, ড্রেন দিয়ে এখন আর পানি প্রবাহ দূরের কথা যেন নালায় পরিণত হয়েছে এটি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। যদিও বেশ কয়েকজন জানালেন, পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে সবাই এখানে খালি জায়গায় ময়লা ফেলছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাজার ও বাসাবাড়ির সকল ময়লা, প্লাস্টিক ও আবর্জনা এইখানেই ফেলা হচ্ছে। এতে করে রাস্তায় চলাচল, মসজিদে নামাজ আদায় ও ড্রেনে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হয়েছে। পথচারী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মিরকাদিম পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও মসজিদের পাশে এমন ময়লার ভাগাড়ে অতিষ্ঠ। কয়েক বছর ধরে এই ময়লার ভাগাড়ে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এছাড়াও ময়লার ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান পাট। প্রতিদিন ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধ নিয়েই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন দোকানদারেরা। অচিরেই এ ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।