নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-জামায়তের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আওয়ামী লীগ কর্মীদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের আঘাতে মো. সজল (২৬) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখমসহ ২ জন আহত হয়েছে। আহত অপরজনের নাম রুবেল মিয়া (৩৫)। গত রোববার বিকালে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর জখম মো. সজলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রোববার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ৭টি সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এবং শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলছিলো শহরের মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স সংলগ্ন সড়কে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ সমাবেশস্থলে পিছনে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন ও পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের সমর্থকরা। এসময় জাহিদ সমর্থক মো. সজলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত হয় রুবেল নামের আরেক কর্মী। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আহত সজলকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রুহুল আমিন জানান, দুইজন আহত হাসপাতালে এসেছিল। এর মধ্যে সজলের অবস্থা গুরুতর ছিল। তার মাথায়, পিঠে এবং পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এখান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অপর আহত রুবেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন বলেন, হট্টগোল, মারামারি হয়েছে। তবে কারা কি জন্য মারামারি করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমি সমাবেশস্থলের সামনে ছিলাম। হট্টগোলের সময় একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি। অপরদিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি জাহিদ হাসানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুইটি উপদলীয় অন্তঃকোন্দলে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।