নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সারাদিন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মাদবর গণসংযোগের মাধ্যমে ভোট ও দোয়া চেয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে লৌহজংয়ের স্থানীয় সাধারণ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল হামিদ মাদবরের ছেলে লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের গরীব দুঃখী মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এমন উদার মনের মানুষ মো. শফিকুল ইসলাম মাদবর। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ভোট ও দোয়া চান এবং গণসংযোগ করছেন।
গণসংযোগ ও পথসভায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মাদবর বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তবে দল আমাকে মনোনয়ন না দিলেও স্থানীয় সাধারণ ভোটার ও দলীয় নেতা-কর্মীরা সকলে আমার বাড়ি এসে আমাকে স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে বলেন। আমি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কথা বিবেচনা করে প্রার্থী হয়েছি। আমি জনগণের মনোনীত প্রার্থী। এই এলাকায় আমার বাবা দীর্ঘদিন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। আমি স্থানীয় জনগণ ও ভোটারদের সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
এসময় তিনি আরো বলেন, দল আমাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি। দলের বড় বড় পদ নিয়ে অনেকেই বসে থাকে। দল তাদের সুযোগ ও সুবিধা দেয়। আমাদের দুঃখ লাগে। আমি দলের নেতা নয় কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। করোনা, বন্যাসহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। বাল্যবিবাহ, মাদকমুক্ত সমাজ রাখার চেষ্টা করেছি। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থেকে সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করেছি। লৌহজং-তেউটিয়ার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে চব্বিশ ঘন্টা সেবা পাবে। আমাদের ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো এটা আমার স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভোট ও দোয়া চাই।
উল্লেখ্য, গতবছর এই ইউনিয়নে সীমানা জটিলতার কারণে নির্বাচন স্থগিত ছিলো। গত মাসে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হয়। ভোট গ্রহণ চলতি বছরের ১৫ জুন। এ ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন মো. শফিকুল ইসলাম মাদবর, মো. মামুন বেপারী।